আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় তলুইগাছায় এক লম্পটের বিরুদ্ধে দুই সন্তানের জননীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে সদর উপজেলার তলুই গাছা গ্রামে এঘটনাটি ঘটে। আহত গৃহবধূর নাম জোহরা খাতুন। তিনি তলুইগাছা গ্রামের বিদেশ প্রবাসী হাফিজুর রহমানের স্ত্রী। এ সময় আহত হয়েছেন একই গ্রামের মৃত গোলাপ রহমানের ছেলে নারীলোভী ও লম্পট ইয়ারুল ইসলাম ।
স্থানীয় মেম্বর আব্দুস সামদ ও গ্রামবাসিরা জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তলুই গাছা গ্রামের গৃহবধু জোহরা খাতুন এর স্বামী হাফিজুর রহমান বিদেশ থাকার সুযোগে প্রতিবেশি ইয়ারুল প্রায়ই তাকে কু প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি লোকজন জানাজানি হলে ইতিপূর্বে বেশ কয়েক বার স্থানীয় ভাবে শালিশি বৈঠকে মাধ্যমে তাদের মধ্যে মিমাংসা করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনা বিদেশ প্রবাসী হাফিজুর রহমানকে জানায় তার স্বজনরা। এতে শুরু হয় জোহরা খাতুনের সংসারে অশান্তি। এক পর্যায়ে ইয়ারুলকে আসামি করে গৃবধূ জোহরা খাতুন সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এরই জের ধরে ইয়ারুল মঙ্গলবার ভোর রাতে ওই গৃহবধূর ঘরের পিছনের জানালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে । এসময় দুজনের ধস্তাধস্তির এক পর্যাযে ইয়ারুল জোহরা খাতুনের হাত থেকে দা কেড়ে নিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে । জোহরা খাতুনও এ সময় লম্পট ইয়ারুলকে কুপিয়ে জখম করে। জোহরা খাতুন বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোহরা খাতুন জানান, ইয়ারুলের স্ত্রী মোবাইলে বিদেশে থাকা তার স্বামী হাফিজুর রহমানের কাছে কুৎসা রটিয়েছে। বিষয়টি তার স্বামী তাকে জানায় এবং তালাক দেওয়ার হুমকি দেয়। এরই জের ধরে মঙ্গলবার ভোররাতে ঘরের জানালা ভেঙে ইয়ারুল তার ঘরে ঢুকে তাকে দা দিয়ে আঘাত করে । এ সময় হাতাহাতির এক পর্যায়ে ইয়ারুলও সামান্য আহত হয়েছেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন।
এদিকে, গোপনে চিকিৎসা নেওয়া অবস্থায় ইয়ারুল রাতে তার বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, জোহরা খাতুন তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, ঘটনা শুনে এস আই মোমরেজ সেখানে গিয়েছিল। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা দেননি । মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।