দেশের খবর: করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে প্রায় একমাস ধরে আদালত বন্ধ থাকায় আইনজীবীদের দাবি এবং বিচার প্রার্থীদের কথা চিন্তা করে প্রতি সপ্তাহে অন্তত দু’দিন দেশের সকল জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জামিন শুনানিকালে কারাবন্দি আসামিদের কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনোভাবে আদালতে হাজির না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আজ ব্রহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতিদের অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের পর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবরের স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজকে এবং মহানগর এলাকার মহানগর দায়রা জজকে ছুটিকালীন সময়ে তার সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দু’দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির জন্য সীমিত আকারে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিজে অথবা তার নিয়ন্ত্রণাধীন এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ছুটিকালীন সময়ে তার/তাদের সুবিধামতো প্রতি সপ্তাহে যেকোনো দু’দিন কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জরুরি জামিন শুনানির (কারাগারে থাকা হাজতী আসামির আবেদনসহ) সীমিত আকারে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের গত ১১ এপ্রিলের নির্দেশনার ধারাবাহিকতায় পুনরায় উল্লেখ করা হচ্ছে যে, যে সকল ফৌজদারী মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যে সকল মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদলতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যে সকল মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশের আদেশ প্রদান করা হয়েছে, সে সকল মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত নিয়মিতভাবে খোলার তারিখ হতে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। সাধারণ ছুটিকালীন সময়ে উক্ত মামলা সমূহের বিষয়ে কোনো আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা হবে না।বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, একটি মামলার জামিন শুনানিতে কেলমাত্র একজন আইনজীবী অংশগ্রহণ করবেন। আদালত প্রাঙ্গনে এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে অনুসরণ করা না হলে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করতে হবে। আদালত প্রাঙ্গনে এবং এজলাস কক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে স্বস্ব আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কার্যকরী কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনাক্রমে জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।