ন্যাশনাল ডেস্ক : বিভিন্ন কর্মস্থলে একাধিক নারীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক ও পরে শাস্তিস্বরুপ বদলীর পর সর্বশেষ নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ের গোল্ডেন সিটি আবাসিক হোটেল থেকে সোমা সরকার নামে এক সহকর্মীসহ আটক হওয়া গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদত হোসেন সমঝোতার মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে সদর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার নাটোর সদর থানায় শাহাদাতের স্ত্রী ও সোমা সরকারের ভাইয়ের উপস্থিতিতে এ সমঝোতা বৈঠক হয়। আটকের পর কেন তাদের আদালতে নেয়া হল না জানতে চাইলে নাটোর সদর থানার ওসি মশিউর রহমান পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘দুজনই সরকারী কর্মকর্তা, কি ব্যবস্থা নিবো”?
স্থানীয়রা জানায়, গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদত হোসেন এর আগে শরিয়তপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার হিসেবে দায়িত্বে পালনের সময় এই সহকর্মী সোমা সরকারকে পাশের রুমে রেখে তিনি বসবাস করতেন। সে সময় তাদের অপকর্মের কথা ফাঁস হলে শাহাদত হোসেনকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে বদলী করা হয়। ঘোড়াঘাটেও অপর এক মহিলার সাথে অবৈধকাজে ধরা পড়ার পর তাকে নাটোরের গুরুদাসপুরে বদলী করা হয়। গত একমাসে আগেও গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদত হোসেন তার অফিসেই এই নারী সহকর্মীর সাথে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়ার সময় ধরা পড়েছিলেন বলে তার অফিস সূত্রে জানা গেছে। সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত তাকে বাঁচাতে জেলা সমাজ সেবা অফিসারসহ অন্যদের নাটোর থানায় তৎপরতা চালাতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার মোঃ মশিউর রহমান জানান, দুজনই সরকারী কর্মকর্তা কি ব্যবস্থা নিবো। যদি ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে জেলা সমাজ সেবা অফিসারকে বলবো গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদত হোসেনকে যেন আর একদিনও গুরুদাসপুরে অফিস করতে না দেন। এ দিকে দুপুরের দিকেই সমাজসেবা অফিসারের স্ত্রী এবং আটক সোমা সরকারের ভাই থানায় এসে বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা সভায় বসেন। গুরুদাসপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শাহাদত হোসেন তার সমস্ত জমিজমা ও সম্পদ স্ত্রীর নামে লিখে দেয়ার শর্তে স্ত্রী তাকে মেনে নেন। অপরদিকে আটক সোমা সরকাররের স্বামী পরিবারের অশান্তির কারনে ইতোমধ্যে দ্বিতীয় বিয়ে করায় একা চলা সোমা সরকারকে কিছ ুনগদ টাকা দেন সমাজসেবা অফিসার শাহাদত হোসেন। সমঝোতা বৈঠকে পুলিশ ও দুই পরিবারের লোকজন ছাড়াও নাটোর জেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল মতিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
নাটোর জেলা সমাজসেবা অফিসার আব্দুল মতিন চৌধুরী বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমাদের লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।