বিদেশ ডেস্ক : আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বলেছে, অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতিতে কর্মরত বিশ্বের প্রায় ১৬০ কোটি মানুষ করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে জীবিকা হারানোর তাৎক্ষনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। এই পরিমাণ মানুষ বিশ্বের মোট শ্রম শক্তির অর্ধেক। বুধবার জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
করোনাভাইাসের মহামারিতে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৩১ লাখেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে দুই লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বন্ধ রাখা হয়েছে বহু দেশের অর্থনীতি। ফলে চাকুরির ওপর তৈরি হয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি। আইএলও’র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে সেই ঝুঁকির চিত্রই উঠে এসেছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেছেন, বিশ্বের মোট ৩৩০ কোটি শ্রম জীবী মানুষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক শ্রমজীবীরাই সবচেয়ে বেশি দুর্বল। তাদের শ্রমের সুরক্ষা নেই, ভালো চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ নেই এমনকি বাড়িতে থেকেও কাজের সুযোগ নেই।
গাই রাইডার বলেন, ‘লাখ লাখ কর্মীর আয় নেই মানেই তাদের খাবার নেই, নিরাপত্তা নেই আর কোনও ভবিষ্যতও নেই। সারা বিশ্বের লাখ লাখ ব্যবসা এখন কোনও রকমে টিকে আছে।’ তিনি বলেন, ‘তাদের কোনও সঞ্চয় নেই, ঋণ পাওয়ারও সুযোগ নেই। এসবই বিশ্বের কাজের পরিস্থিতির সত্যিকার চিত্র। এখনই যদি তাদের সাহায্য না করি তাহলে তাদের সর্বনাশ হয়ে যাবে।’
আইএলও বলছে দীর্ঘায়িত হতে থাকা লকডাউন এবং অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মোট কর্মঘণ্টার পরিমাণ আরও মারাত্মকভাবে কমে আসবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ সেক্টর হলো উৎপাদন, বাসস্থান, খাবারের সেবা, পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য এবং রিয়েল এস্টেট।