শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগরের কাশিমাড়ীর যুবলীগনেতা আব্দুল ওহাব পিয়াদার পরকিয়া প্রেমে সংসার ভাঙল এক অসহায় পরিবারের। ঘোলা গ্রামের ইয়াকুব আলির স্ত্রীর সাথে তার পরকিয়া প্রেমের কারনে ২ সন্তানের জনক দিশেহারা। মোবাইল গোপন অটো কল রেকর্ডে ফাঁস হয়ে যায় কাশিমাড়ীর গোবিন্দপুর ওহাব পিয়াদার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ড। সূত্রে প্রকাশ, গত ১২ মে ২০০৩ সালে শ্যামনগরের ঘোলা গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার পুত্র ইয়াকুব আলী কালিগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের গফফার মোড়লের কন্যা নুরনাহার খাতুনের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। প্রায় ১৭ বছর শান্তিপূর্ন সংসারের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান জনক জননীর ঘরে এখন অশান্তির আগুন জ্বলছে। ইয়াকুব আলী জানান, তার স্ত্রী নুরনাহার খাতুনকে ফুসলিয়ে অনৈতিক কাজে জড়াতে বাধ্য করেন কাশিমাড়ী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক গোবিন্দপুর গ্রামের আঃ পিয়াদার পুত্র আব্দুল ওহাব পিয়াদা। গত ১ মাস পূর্বে নুরনাহারের প্রতি সন্দেহের জেরে মোবাইল অটো কল রেকর্ড চালু রেখে তথ্য ফাঁস হয় পরকীয়া প্রেমের। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে উভয়ই বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ নিয়ে ওহাব পিয়াদা বিবাহ করেছেন বলে গুঞ্জন সৃষ্টি হলেও তখন তিনি অস্বীকার করেছিলেন। সম্প্রতি ওহাব পিয়াদা ৩ সন্তানের জনক হলেও এনজিও কর্মী এসডিএফ সমিতির সভাপতি নুরনাহার খাতুনের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ওহাব পিয়াদা যুবলীগের নেতা ও অর্থশালী হওয়ায় এলাকার লোক তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড জেনেও ব্যক্ত করতেন না। নুরনাহারের নানার বাড়ির সন্নিকটে ওহাব পেয়াদার বাড়ি হওয়ায় কৌশলে ইয়াকুবকে তার নানা শ্বশুর বাড়িতে ঘর তৈরি করতে বাধ্য করান। ওহাব পিয়াদার কুট কৌশল বুঝতে না পেরে সরলমনা ইয়াকুব অনেক কষ্টে তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে সেখানে ঘর তৈরি করে বসবাস করেন। এক মাস পূর্বেও তার স্ত্রীর সাথে স্ত্রীর মর্যাদায় শান্তিপূর্ন বসবাস ছিল। ইয়াকুব আলী দরিদ্র হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করতে যাওয়ার সুযোগে বাড়িতে না থাকায় তার স্ত্রীর সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ওহাব পিয়াদা। স্ত্রী ও ওহাব পিয়াদার অত্যাচারে ইয়াকুব এখন ঘরছাড়া। ইয়াকুবের শিশু কন্যাকে নুরনাহার রেখে দেওয়ায় তার কৃত্তিকলাপে তিনি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। ইয়াকুবের সন্তানদ্বয় সহ ইয়াকুব এখন দারুন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ওহাব পিয়াদা যুবলীগের নেতা হওয়ায় ইয়াকুব আলি নানবিধ হুমকিতে ভুগছেন। ওহাব পিয়াদা জানান, নুরনাহারের সাথে তার বিয়ে হয়েছে, তার স্বামী ইয়াকুব থাকা স্বত্তেও কিভাবে বিয়ে করলেন বিষয়টি নিয়ে এড়িয়ে যান, সামাজিকভাবে বিয়ে মেনে নিতে গত ৫মে ২০২০ তারিখে ইয়াকুবকে সে তালাক দিয়েছে বলে ওহাব পিয়াদা জানান। অথচ তালাকের বিষয়ে ইয়াকুব কিছুই জানেন না। এক স্ত্রীর কি দুই স্বামী? এ নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। নুরনাহার খাতুনের ০১৭৭৭-৫০১৭১৯ মোবাইলে বুধবার বেলা ১.০৩ মিনিট বার বার কল করা হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়। ফলে তার ভাষ্য জানা সম্ভব হয়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট