নিজস্ব প্রতিনিধি : শ্যামনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা রেকর্ড না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকের পরিবার। নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষক নেতাও সাবেক শিক্ষার্থীরাও।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রী কলেজ ও নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কয়েকজন কলেজ শিক্ষক ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা নকিপুর সরকারী হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড. মোহম্মাদ আব্দুল মান্নানের উপর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন, কলেজ শিক্ষক আবুল হোসেন, আবুল কাসেম, আসাদ ও কিশোরী মোহন, পিয়ন গোলাম হোসেন খন্ডকালীন পিয়ন আমিনুুর।
প্রধান শিক্ষকের উপর এধরনের হামলার ঘটনায় মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে শিক্ষকরা ও নকিপুর সরকারী হরিচরণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ফোরামের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এদিকে আহত শিক্ষককে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত হন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম আতাউল হক দোলন, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কৃষ্ণানন্দ আনন্দ মুখার্জি, সাধারণ সম্পাদক আজিবর রহমান, জয়দেব বিশ্বাস গভীর ভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু ঘটনার ২দিন অতিবাহিত হলেও মামলা রেকর্ড না হওয়ায় শিক্ষক নেতা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি কৃষ্ণানন্দ আনন্দ মুখার্জি বলেন, একজন শিক্ষককে এভাবে মারপিট করে তারা ফৌজদারী অপরাধ করেছে। তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইউএনও সাহেবের কাছে বসাবসি হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে মামলা রেকর্ড করা হবে।
শ্যানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু গিফারীর সেল ফোনে শুক্রবার রাত ৮.৪৫ মিনিটে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
ভুক্তভোগী শিক্ষক আব্দুল হান্নান বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ প্রকাশ্যে তারা আমাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। যা ফৌজদারী অপরাধের শামিল। অথচ মামলা রেকর্ড করা নিয়েও তালবাহানা করা হচ্ছে। তিনি অবিলম্বে মামলা রেকর্ড পূর্বক হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান।
