অনলাইন ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে সুন্দরবনে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা জানান। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিগুলোকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে হয়েছে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারও সুপার সাইক্লোন আম্ফানে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারী বন সংরক্ষক পদাধিকারী রেঞ্জ অফিসারদের নেতৃত্বে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিগুলোকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
মন্ত্রী জানান, প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনে বন বিভাগের ১০টির অধিক কাঠের জেটি এবং ৩০টির অধিক স্টাফ ব্যারাকের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বনবিভাগের ৬০টির অধিক পুকুরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। সুন্দরবনের গাছ গাছালির মধ্যে কেওড়া গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত বা ভেঙে যাওয়া গাছপালা অপসারণ করা হবে না জানিয়ে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, ‘সুন্দরবন নিজস্ব প্রাকৃতিক ক্ষমতা বলেই এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। পুকুরগুলোর লবণাক্ত পানি অপসারণ করে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কিছু পুকুর পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যারাত থেকে শুরু হয় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব। সারারাত এটি দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে। সারারাত তাণ্ডব চালানোর পর সকাল সাড়ে ৭টার পর এটি স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর স্থল নিম্নচাপ হিসেবে রাজশাহীতে অবস্থান করছিল আম্ফান। সকালেই মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলে আবহাওয়া অধিদফতর।