বি এম আলাউদ্দীন, আশাশুনি : আশাশুনিতে ঘুর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে লন্ডভন্ড ৫ ইউনিয়নের ২৬টি পয়েন্ট ভেঙ্গে প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২৪কি: মিটার ভেড়িবাঁধ, ৩০কি: মি: রাস্তা, ৭হাজার ৮শত ৫০টি বসত ঘর ভাঙ্গা ও আংশিক ১৫ হাজার ৬০০ বসত ঘর ভাঙ্গাসহ ৩২৯ হেক্টর ফসলাধি জমি, ৮৬৯৮ হেক্টর মাছের ঘেরের জমি। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন হয়েছে উপজেলার সকল গ্রাম। নদীর ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত, চারদিক থেকে বয়ে যাওয়া ঝড়ে ঘরবাড়ি যেন উড়ছে। ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে আশাশুনি উপজেলার আশাশুনি সদর ইউনিয়নের মানিকখালী ব্রীজ টু জেলেখালী দয়ারঘাট ৫টি পয়েন্ট, বলাবাড়িয়া ৪টি পয়েন্ট উত্তর বলাবাড়িসহ মোট ১২টি পয়েন্ট ভেঙ্গে ৮গ্রাম ও প্রায় ১০ হাজার বিঘার মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা, শুভদ্রকাঠি, কুড়িকাউনিয়া, হিজলিয়া, দিঘলার আইটসহ ৭টি পয়েন্টে ভেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকায় ২০-২৫ হাজার মানুষের বসত বাড়ি ও মাছের ঘের প্লাবিত। অনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের মেইন রোডের ৩টি পয়েন্ট ১০-১২ ফুট জলোচ্ছাসে পাকা রাস্তা ভেঙে প্লাবিত। শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালি গ্রামের ২টি পয়েন্ট ভেঙে প্লাবিত হয়েছে। বড়দল ইউনিয়নের মানিকখালী ব্রীজ টু তেঁতুখালী স্লুইচ গেটের মধ্যস্থলে ২টি পয়েন্ট ভেঙ্গে আনুমানিক ১হাজার বসত ঘরসহ মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ অগনিত বসতঘর ও গাছ-গাছালির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেড়িবাঁধ সংস্কারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সর্বোত্বক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা।
পূর্ববর্তী পোস্ট