নিজস্ব প্রতিনিধি : সুপার সাইক্লোন আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষা ও উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে ক্লাইমেট স্ট্রাইক কর্মসূচি পালন করেছে তরুণরা।
শুক্রবার (৫ জুন) বেলা ১১টায় বিশ^ পরিবেশ দিবস উপলক্ষে সুইডিস কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বাধীন ফ্রাইডেস ফর ফিউচার আন্দোলনে অংশ নিয়ে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা এই দাবি জানায়।
শ্যমনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের ছোট চন্ডিপুর বাঁধে একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস আয়োজিত তরুণদের এই ক্লাইমেট স্ট্রাইকে গণ-অংশীদারিত্বে টেকসই বাঁধ নির্মাণ, আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে ওঠার জন্য মানব-মর্যাদা অক্ষুণœ রেখে অনতিবিলম্বে পুর্নবাসন এবং করোনা মহামারীকে মাথায় রেখে এখন থেকেই পরবর্তী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানান আন্দোলনকারীরা।
এতে অর্ধশত তরুণ-তরুণী প্লাকার্ড হাতে নিয়ে জলবায়ু সুবিচারের দাবিতে স্লোগান দেয়।
ইয়ুথ নেটের সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক এসএম শাহিন আলম বলেন, জলবায়ু সংকট আমাদের উপকূলীয় মানুষের জীবন জীবিকায় খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। করোনা মহামারীর মধ্যে জলবায়ু সংকট আমাদের জীবন বিশেষ করে বিশ্ব হেরিটেজের খ্যাতি পাওয়া সুন্দরবন লাগোয়া উপকূলীয় মানুষের জীবনযাত্রার মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে জেঁকে বসেছে। যার বড় প্রমাণ হচ্ছে সদ্য আঘাত হানা সুপার সাইক্লোন আম্পান। একদিকে করোনায় বহুদিনের কর্মহীনতা আবার অন্যদিকে আম্পানে স্বজন হারা, ঘর হারা, ফসল হারা এই সব মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তু হওয়ার চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।
শাহিন আরো বলেন, সুন্দরবনকে সুরক্ষিত করতে প্রত্যেকটি সাইক্লোন বিশেষ বার্তা দিয়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি নানা রকম দখল, দূষণ ও পরিবেশ বিধ্বংসী প্রকল্প থেকে সরে এসে প্রাণ বৈচিত্র্য সংরক্ষণের এখনই সময়।
কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন পদ্মপুকুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. এস এম আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য এসএম সাইফুল্লাহ, মুহতারাম বিল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ মুকুল, এসএম কামরুজ্জামান, মাসুম বিল্লাহ, আশিক বিল্লাহ প্রমূখ।
বক্তারা বাঁধ মেরামত দেখভালের দায়িত্ব গণশুনানী করে স্থানীয় জনগণের হাতে ন্যস্ত করা, জলবায়ু কমিশন ও উপকূল উন্নয়ন বোর্ড স্থাপন করা, জাতীয় বাজেটে জলবায়ু সংকট কবলিত এলাকার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি তোলেন। #
পূর্ববর্তী পোস্ট