নিজস্ব প্রতিনিধি : যুবলীগ নেতা রাজীব হায়দারের নেতৃত্বে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে যাওয়া ১৫জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠণের নেতা কর্মীদের পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে একটি প্রাইভেটকারসহ ১৫টি মোটর সাইকেল। কেড়ে নেওয়া হয়েছে চারটি মোটর সাইকেল। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের কাদনিখালি ব্রীজের কাছে ও নকীপুরে দু’ দফায় এ হামলা চালানো হয়।
অভিযোগ, আহতদের হাসপাতালে যেতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি পুলিশকে জানিয়েও কোন সহায়তা পাননি জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
আহতরা হলেন, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আজিবর রহমান, উপজেলা স্ব্চ্ছোসেবক দলের সভাপতি এসএম আনিছুর রহমান আনিছ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠণিক সম্পাদক শেখ শাহারিয়ার মাসুদ, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাসেল ইসলাম, মৎস্যজীবি দলের নেতা আব্দুর রশীদ, যুবদল নেতা জামিরুল ইসলাম বাবলু, কাশিমাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আব্দুল গফফার মিঠু, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, জহিরুল ইসলাম, মোস্তফা মিন্টু, রবিউল ইসলাম, মামুন, শাহীনসহ ১৫ জন।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির এর অর্থায়নে শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে কাশিমাড়ী মাদানী ফাউন্ডেশন ময়দানে শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নে মোট ১২০০ অসহায় পরিবারের মধ্যে থেকে কাশিমাড়ী ইউনিয়নের ৩৫০ অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির উদ্বোধনের লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে জেলা বিএনপির যুগ্নআহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, পৌর মেয়র আলহাজ¦ তাজকিন আহমেদ চিশতি, যুবদল সভাপতি আবু জাহিদ ডাবলু, স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিক, কৃষকদল সভাপতি আহসানুল কাদির স্বপন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মুকুল, যুবদল নেতা হাসান শাহরিয়া রিপন, যুবদল নেতা আনোয়ারুল ইসলামসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা সকাল ১১টার ি যাওয়ার সময় পথিমধ্যে কাশিমাড়ি ইউনিয়নের কাতখালি ব্রীজের নিকট পৌছালে স্থানীয় সংসদ সদস্য জগলুল হায়দারের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক রাজিব হায়দারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর তর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারী এ সময় তাদের কমপক্ষে ১৫ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। পরবর্তীতে এমপি জগলুল হায়দারের বাড়ির সামনে জেলা নেতৃবৃন্দের উপর দ্বিতীয় দফায় হামলায় চালায়। একই সাথে ভাংচুর করা হয় তাদের একটি প্রাইভেটকারসহ ১৫টি টি মোটরসাইকেল। ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের চারটি মোটর সাইকেল। তিনি জানান, আমরা এর প্রতিবাদ করে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে(ওসি) জানালে তিনি বলেন,‘ত্রান দিতে এসেছেন, অনুমতি নিয়েছেন?। হামলার সময় জেলা বিএনপি’র নেতৃবৃন্দকে ঘিরে রাখা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, হামলাকারীরা আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয়। ফলে আহতরা স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচেছন।
তবে সংসদ সদস্য জগলুল হায়দারের ছেলে উপজেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক রাজিব হায়দার ঘটনা স্থলে ছিলেন না দাবি করে বলেন, বিএনপি নেতা তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে কিছু নেতা কর্মী যাওয়ার সময় তাদেরই অপর গোষ্টীর মাধ্যমে দলীয় নেতা কর্মীরা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে লোকমুখে তিনি শুনেছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহবায়ক এড.সৈয়দ ইফতেখার আলী রোববার দুপুর দু’ টোয় তার সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের বাড়ির সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একইসাথে তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও গ্রেফতারের দাবি জানান। এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম উপস্থিত ছিলেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, শ্যামনগরে বিএনপি’র ্কয়েকটি গ্র“প রয়েছে। আভ্যন্তরীন কোন্দলের ফলে এ ধরণের হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তবে এ নিয়ে রোববার বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট