বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের বেনাপোল ও শার্শায় শুক্রবার একজন সাংবাদিকসহ ছয় জনের দেহে কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের ল্যাবে পাঠানো নমুনা থেকে বেনাপোল-শার্শায় ছয় জনের আক্রান্তের রিপোট এসেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
এ নিয়ে (৩ জুলাই পর্যন্ত) বেনাপোল-শার্শায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ জন। মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৭ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪৯ জন। মারা যাওয়া দুই জনের বাড়ি বেনাপোলে। আক্রান্তের মধ্যে থানা ও ইমিগ্রেশনের পুলিশ, সাংবাদিক, স্বাস্থ্য কর্মী, মা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী, ১৭ দিন বয়সের শিশু, স্কুল ছাত্র বৃদ্ধসহ যুবকরাও রয়েছেন।
শুক্রবার আক্রান্তের মধ্যে রয়েছে বেনাপোলের নামাজগ্রামের একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও সাংবাদিক (৪২), ওই গ্রামের আরও একজন (৬৯), তালশাড়ি এলাকায় ভাড়া থাকা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা (৩৬), দিঘীরপাড় এলাকার একজন (৪১), শার্শার বসতপুর এলাকার একজন (৫৫) ও শ্যামলাগাছি পাওয়ার হাউজ এলাকার একজন (২০)। করোনা আক্রান্তরা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে নিজ বাসায় আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, বেনাপোল ও শার্শায় প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অবস্থা অনেক খারাপের দিকে যাচ্ছে। তারপরও মানুষের মনে একটুও ভয় নেই। গাদাগাদি করে ইজিবাইক, জেএস, নসিমন করিমন, মোটর সাইকেলে চলছে সাধারন মানুষ। অধিকাংশ লোকের মুখে নেই কোন মাস্ক। সমাজিক দূরত্ব মানার নেই কোন আলামত। বড় বড় বাজারসহ গ্রামাঞ্চলের হাট বাজার দোকানপাট ইচ্ছামত খুলে রাখা হচ্ছে। অভিযান চালালে দোকানপাট বন্ধ রাখছে। ফিরে আসার সাথে সাথে আবার খুলছে। একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জরিমানা করেও জনসমাগম ঠেকানো যাচ্ছে না।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী জানান, প্রতিদিনই নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারের ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে। প্রতিদিনই ৫ থেকে ৮ জনের পজেটিভ রিপোর্ট আসছে। এখন প্রতিটি মানুষের উচিৎ ঘরে থাকা। এ জন্য তিনি শার্শার সচেতন জনগনকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচল করতে বলেন। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। তিনি আরো জানান, আক্রান্তদের বাড়ি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন করা হয়েছে।