বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৭ জেলার ১০ উপজেলায় ১১টি গুচ্ছগ্রাম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব গুচ্ছগ্রামে ৩৯০ পরিবার আশ্রয় পাবে।। এসময় তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি পালন করবো। আমি চাই এর আগেই যেন বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন না থাকে। এই সময়ের মধ্যেই আমরা প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালবো, বিদ্যুৎ দেবো।’
বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে গৃহহারা, ভূমিহারা মানুষকে অন্ততপক্ষে একটা ঠিকানা আমরা করে দিতে পারলাম। এতে আমি আনন্দিত। আমাদের সীমিত শক্তি দিয়ে যতটুকু দিতে পেরেছি তা দিয়ে আপনারা জীবন-জীবিকটা ভালোভাবে নির্বাহ করবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রথমটাই হচ্ছে বাসস্থান। থাকার জায়গা হলে মানুষ তার জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করতে পারে। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষের একটা ঠিকানা আমরা করে দেবো। এই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।’
তিনি বলেন, ‘যে আমানত আজ আপনাদের হাতে তুলে দিলাম এটাকে নিজের ভাগ্য গড়ার কাজে ব্যবহার করবেন। এটা কোনোভাবেই যেন খিয়ানত না হয় সে দিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। আস্তে আস্তে আপনাদের জীবনমান উন্নত হবে।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ হবে। বাংলার মাটিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের স্থান হবে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে, উচ্চশিক্ষিত হবে। দেশে-বিদেশে তারা কাজ করবে। নিজের পায়ের দাঁড়াবে। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’