দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট ‘জিএসএটি-০৯’য়ের সফল উৎক্ষেপণ করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। ভারতের উদ্যোগে ২০১৪ সালে সার্ক সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে এই উপগ্রহে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাকিস্তান ছাড়া সার্কের অন্যান্য দেশগুলো এতে যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ‘জিএসএটি-০৯’য়ের দ্বারা বাধাগ্রস্ত হবে না এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ শেষে দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশের শীর্ষ নেতার ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেওয়ার কথা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আজ সন্ধ্যায় গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লী থেকে এবং আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল এবং ভুটানের রাষ্ট্র প্রধান তাদের নিজ নিজ দেশ থেকে এ ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিচ্ছেন।
স্যাটেলাইটটির ওজন ২ হাজার ২৩০ কেজি। যা নির্মাণে ৩ বছর সময় লেগেছে। ‘জিএসএটি-০৯’ দক্ষিণ এশীয় এসব দেশের মধ্যে টেলিযোগাযোগ, টেলি-মেডিসিন, টেলি-এডুকেশন এবং অন্যান্যের খাতে দ্রুত সেবা প্রদানে অবদান রাখবে। স্যাটেলাইটটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠ করবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তথ্য-উপাত্ত প্রদানের মাধ্যমে স্যাটেলাইটটি পানি সংরক্ষণ উদ্যোগ, আবহাওয়া বার্তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কবার্তা পাঠাতে সহায়তা করবে।
ভারতের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টায় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। গত মাসে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানিয়েছিলেন, এই কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ৪০ কোটি ডলারের পুরো ব্যয় বহন করছে ভারত।
এই স্যাটেলাইটের ১২টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে একটি বিনামূল্য পাচ্ছে বাংলাদেশ এবং তা যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবে তারা।