ডেস্ক রিপোর্ট: ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক দেশের প্রতি মমতা ও ভালোবাসার টানেই দেশে ফিরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালেও থেমে নেই তাঁর সৃজনশীল লেখালেখির কাজ। বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন মনের সুপ্ত ইচ্ছা, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের পরিকল্পনার কথা।
কয়েক মাস আগে থেকেই লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সৈয়দ হক। দেশ থেকে বেশিদিন দূরে থাকাটা ভালো লাগছিলো না তার, তাই সিদ্ধান্ত দেশেই চিকিৎসা নেবেন। এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন রাজধানীর ইউনাইডেট হাসপাতালে। সোমবার ওই সাক্ষাৎকারের সময় তার পাশে ছিলেন সহধর্মিনী কথাসাহিত্যিক সৈয়দ আনোয়ারা হক।
শামসুল হক বলেন, ‘চার মাস আগে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলাম। চার মাস পর ওরা আমাকে বললো কিছুদিন দেশ থেকে ঘুরে আসেন তারপর আমরা দেখব কি করা যায়।’
তিনি জানান, দেশে ফিরে চিকিৎসা নেয়ার তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী আনোয়ারা সিদ্ধান্ত নিলাম আমার মা, আমার মানুষ, আমার দেশের কাছে ফিরে যাব। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনেই খবর পাঠিয়ে বলেছিলেন যে আপনি ওখানে থাকুন, ওখানে চিকিৎসা করান। আমি শুনে প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা পাঠালাম এবং বললাম আমি বাংলাদেশে আসব।
আমাকে যখন প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে দেখতে এলেন বললেন, খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই দেশ আপনার, এই মাটি আপনার এর জন্যই সারাজীবন কাজ করেছেন। বাংলা সাহিত্যে অসমান্য অবদান রেখেছেন। আপনি না থাকলে আমি কি থাকব। সমস্ত চিকিৎসার ভার প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন বলে আমাকে জানালেন আর বললেন আপনি কোনো কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন না। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবকিছুর জন্য কতৃজ্ঞ।
ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধির সঙ্গে লড়াই এর মধ্যেও থেমে নেই সৈয়দ শামসুল হকের সৃজনশীল লেখালেখি। বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থায় আমার উপন্যাসের কাজ করছি। চারটি নাটকের কাজ করছি। পরিকল্পনা আছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষির্কী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের।
পূর্ববর্তী পোস্ট