মার্চে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচটি আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে জিতেছিল মেসির লক্ষ্যভেদেই। ওই ম্যাচে সহকারী রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণের অভিযোগ উঠে ম্যাচের পর। যদিও রেফারি ম্যাচ প্রতিবেদনে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই আনেননি! তবু মেসির দিকে আঙুল উঠে টিভি ক্যামেরায় দেখা ফুটেজের মাধ্যমে। যেখানে সহকারী রেফারিকে উদ্দেশ্যে মেসি বাজে কিছু একটা বলার প্রমাণ পায় ফিফার ডিসিপ্লিনারি কমিটি। তাতে কঠিন শাস্তিও দেয় তারা আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে। চিলির ম্যাচের দিনকয়েক পর বলিভিয়ার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের কয়েক ঘণ্টা আগে ঘোষণা আসে, আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
সিদ্ধান্তটা কিছুতেই মানতে পারছিল না আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। অধিনায়কের শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করে ফিফার আপিল কমিটির কাছে। এএফএ ভীষণ আশাবাদী ছিল সিদ্ধান্ত তাদের পক্ষে আসার ব্যাপারে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এসেছেও তাই। ফিফার আপিল কমিটি জানিয়েছে, মেসির বিরুদ্ধে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যাতে তিনি আচরণবিধির কোনও ধারা ভঙ্গ করেছেন। তাই ৪ ম্যাচের যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, সেটি তুলে নেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, ডিসিপ্লিনারি কমিটি যে ১০ হাজার সুইস ফ্রাংকের জরিমানা করেছিল, সেটাও উঠে গেছে একইসঙ্গে।
মেসি অবশ্য ইতিমধ্যে এক ম্যাচ খেলতে পারেনি নিষেধাজ্ঞার কারণে। বলিভিয়ার বিপক্ষে ওই ম্যাচটি ছাড়া আর্জেন্টিনার জার্সিতে বাছাইপর্বে নামতে আর কোনও বাধা নেই তার। ৩১ আগস্ট উরুগুয়ের বিপক্ষে লাতিন অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নামতে পারবেন সময়ের সেরা এই খেলোয়াড়।
রাশিয়া বিশ্বকাপে লাতিন অঞ্চল থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চার দল। কিন্তু আর্জেন্টিনা এই মুহূর্তে আছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে। কঠিন এই পরিস্থিতিতে মেসিকে ভীষণ দরকার ছিল আলবিসেলেস্তেদের। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় নতুন করে যেন প্রাণ খুঁজে পেল দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সমর্থকরা! বিবিসি