আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে থানার গাড়ি ভাংচুরসহ দুই পুলিশ সদস্য আহত, ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম ও সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস মোল্ল্যার দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের পূর্বের শত্রুতার জের ধরে এবং শরবত হত্যা মামলার আসামীরা সম্প্রতি জামিন পেয়ে এলাকায় এসে পূর্বের ন্যায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ সার্চ লাইট জ্বালিয়ে ইটপাটকেল ঢাল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করে। সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে দুই পক্ষের ইটপাটকেল ঢাল ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে থানার গাড়ি ভাংচুর ও হেলমেট ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় এসআই জাহাঙ্গীর আহত হন এবং ওসির ড্রাইভার শরিফুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ড্রাইভার শরিফুল ইসলামকে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন গদাইপুর গ্রামের নুর ইসলামের পুত্র গোলাম কিবরিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের গোলাম রব্বানীর পুত্র মফিজুল ইসলাম (৩৮)। সরোজমিনে দেখা গেছে, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির অত্যান্ত দক্ষতার সাথে উভয় পক্ষকে নিবৃত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে খাজরা ইউনিয়নের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করার প্রয়োজন সেটা করা হবে। তিনি আরো জানান, অত্যান্ত ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট