যশোর ডেস্ক : যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তিন কিশোর নিহত ও আরও অন্তত ১৫জন আহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় কেন্দ্র তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
তারা হলেন- তত্ত্ববধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, সাইকো সোস্যাল কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাকটর শাহানূর এবং ওমর ফারুক।
রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ১০ জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ৫ জনের সংশ্লিষ্টতার সতত্যা মিলেছে। এজন্য ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এরআগে, শুক্রবার কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮) পিতা খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়া। মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে। আসামিদের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রর তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
গত ৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরদের দুই গ্রুপের মারামারি হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনসার সদস্য ও তাদের নির্দেশে কয়েকজন কিশোর ওই অন্তত ১৮ জনকে বেধড়ক মারপিট করে।
মারপিট নির্যাতনের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। কয়েকজন অচেতন থাকায় তারা অজ্ঞান হয়ে গেছে মনে করলেও পরে তারা বুঝতে পারে এরা নিহত হয়েছে। এরপর সন্ধ্যা রাতে এক এক করে তাদের লাশ হাসপাতালে এনে রাখা হয়।
নিহতরা হলেন, বগুড়ার শিবগঞ্জের তালিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু প্রামাণিকের ছেলে নাঈম হোসেন (১৭), একই জেলার শেরপুর উপজেলার মহিপুর গ্রামের আলহাজ নুরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন (১৮) এবং খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান রাব্বি (১৮)।
নিহত রাব্বির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১১৮৫৩। আর রাসেল ও নাঈমের রেজিস্ট্রেশন নম্বর যথাক্রমে ৭৫২৪ ও ১১৯০৭। নাঈম হোসেন ধর্ষণ এবং রাব্বি হত্যা মামলার আসামি ছিল।