ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি ডিগ্রি পাসের নিচে এবং
কামিল মাদ্রাসার সভাপতি মাস্টার্স পাসের নিচের কোনো ব্যক্তি হতে পারবে না।
শিক্ষা সংবাদ : গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া দেশের কোনো ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, ফাজিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি ফাজিল বা ডিগ্রি পাসের নিচে কোনো ব্যক্তি হতে পারবে না এবং কোনো কামিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি কামিল বা মাস্টার্স পাসের নিচের কোনো ব্যক্তি হতে পারবে না।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের স্বাক্ষরের পর বুধবার (১৯ আগস্ট) ১৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির বলেন, রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি হাতে পেয়েছি।
এর আগে গত ২১ জানুয়ারি গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া দেশের কোনো ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত রায়ে আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রথমে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কাছে স্নাতক ডিগ্রিধারী তিনজন ব্যক্তির নাম পাঠাবেন। তিনজনের মধ্যে থেকে ভিসি একজনকে সভাপতি পদে মনোনীত করবেন। কিন্তু ডিও লেটারে কেউ সভাপতি হলে সেটি বাতিল হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোয়ন দেওয়ায় তার সভাপতি পদ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ন কবির বলেন, ২০১৮ সালের ৮ মার্চ বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি পদে এমপির ডিও লেটারধারী মো. বেলাল হোসাইন বাবলুকে মনোনয়ন দেয় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তার নামই প্রতিষ্ঠান প্রধান সুপারিশ করে ভিসির কাছে পাঠিয়েছিলেন।
পরে বেলাল হোসাইন বাবুলকে সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন ওই মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য আরিফুল ইসলাম। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলের শুনানি শেষে আদালত গ্রাজুয়েট ব্যক্তি ছাড়া (ডিগ্রি পাসের নিচে নয়) দেশের কোনো ফাজিল-কামিল (স্নাতক) মাদ্রাসার গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবে না বলে রায় দেন।
আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এটা একটা যুগান্তকারী রায়।