নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর এক মানবাধিকার কর্মী তার স্ত্রীর সাথে অমানবিক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে মানবাধিকার কর্মী আলমগীর হায়দার এর স্ত্রী নাহিদা আক্তার দিবা। ২৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘর থেকে বাহির করে গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
নাহিদা আক্তার দিবা আরো বলেন, আমার স্বামী আলমগীর হায়দার শ্যামনগরের সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাকে হুমকি দেয় মারধর করে। গত ৩ আগস্ট ২০ইং তারিখ শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে আলমগীর হায়দার এর সাথে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় এবং আমার একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সালমা আক্তার ও শাহানারা বেগমের সক্রিয় মদতে কারণে-অকারণে শারীরিক মানসিক নির্যাতন, ভরণ পোষনের কষ্ট দিয়ে আসছে। সে একাধিক বিবাহের নায়ক। বিয়ে করাই যেন তার নেশা। আমি আমার নাবালক কন্যা সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, গরিব পিতার আর্থিক দৈন্যতার কথা মাথায় রেখে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করে সংসার করিতে থাকি। ইতিপূর্বে একাধিকবার নির্যাতন করে নাবালক কন্যা সন্তানকে কেড়ে নিয়ে আমাকে এক কাপড়ে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমঝোতা করে ঘর সংসার করতে থাকে কিন্তু গত ১০ জুলাই আমাকে জীবনে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে শারীরিকভাবে বেপরোয়া মারপিট করে আমার মামা শশুর সানাউল্লাহ সাথে নিয়ে আমাকে বাপের বাড়ি রেখে আসে এবং বলে যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাকে আবার স্বামীর বাড়ি নিয়ে আসবে।
এতদিন যাবত কোন খোঁজখবর নেয়নি যার ফলে আমি গতকাল বাড়িতে চলে আসি। আমাকে ঘরে থাকতে দিচ্ছে না বাইরে বের করে তালা দিয়েছে। আমি তার দ্বিতীয় নাম্বার স্ত্রী আমাকে তালাক দিয়ে তৃতীয় বিবাহ করার পরিকল্পনায় লিপ্ত আছে বলেও অভিযোগ করেন।
এঘটনায় আলমগীর হায়দার বলেন, আমার স্ত্রীকে আমি আইন অনুযায়ী দেনমোহর খোরপোস দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। কারণ হচ্ছে আমি পারিবারিকভাবে ব্যাপক অশান্তিতে আছি, আপনি আমার মেয়ের কাছে জিজ্ঞাসা করলেও জানতে পারবেন আমার মেয়েও তার মাকে চায়না।
২৭.০৮.২০২০