নিজস্ব প্রতিনিধি : তথ্যপ্রযুক্তির মামলায় আলোচিত বেস্টটীমের এড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি’র জামিন না মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে ট্রলি চালকের বাড়ি ভাংচুরের মামলা জামিন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাড়িঘর ভাংচুর এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় মিলির পক্ষে জামিন প্রার্থনা করা হয়। আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির দুটি মামলার মধ্যে বাড়িঘর ভাংচুরে মামলায় জামিন মঞ্জুর করলেও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এড. আরিফুল ইসলাম আলো। অপর পক্ষে এড. শেলী, এড. আব্দুল মুজিদ, আব্দুস সাত্তার, এবিএম সেলিম, পরিচালনা করেন।
সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার আশরাফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য: গত ২৮ আগষ্ট কুলিয়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত মাছুরাকে নিয়ে তার স্বামী সদর উপজেলার পরানদহের ট্রলি চালক আলমগীর হোসেনের বাড়ির দরজা, শোকেজ ও আলমারি ভেঙে নগদ টাকা, সোনার গহনা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লুটপাটের ঘটনায় রোববার রাতে মামলা হয় সদর থানায় মামলা (৭৮নং)হয়। মামলায় বেষ্ট টিমের মোস্তাফিজুর রহমান ও তার স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাড. শাহানাজ পারভিন মিলি, কুলিয়া ইউপি সদস্য মোশরারফ হোসেন, মাছুরা খাতুৃন ও পরানদহের আবুল হোসেনকে আসামী করেন মামলার বাদি আলমগীর হোসেন। সে অনুযায়ি সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের পলাশপোলের ভাড়া বাসা থেকে মিলি ও মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া গত ২২ আগষ্ট ও ২৪ আগষ্ট সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে জেলা পরিষদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা রুবি বাদি হয়ে মঙ্গলবার ২০১৮ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের ২৫(২)/২৯(১)/৩১(২) ধারায় একটি মামলা(১নং) দায়ের করেন। মামলায় দেবহাটার কুলিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান, তার স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য শাহানাজ পারভিন মিলি, শেখ আব্দুস শহীদ চঞ্চল, উজ্জ্বল ও তুহিন খান ওরফে রানাকে আসামী করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট