অনলাইন ডেস্ক : গ্রেফতার থেকে বাঁচতে চুল দাড়ি গোঁফ কেটে আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ মামলার ২নং আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক। তাতেও রক্ষা পেল না সে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে উপজেলার জগদল ইউনিয়নের কাওয়াজুড়ি গ্রামের সমছু মিয়ার স্ত্রী ও ছেলে বদরুলকে আটক করে র্যাব। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গরমা গ্রামের আলি হোসেনের বাড়ি থেকে তারেককে আটক করা হয়। এ সময় তারেকের মাথায় চুল ও মুখে দাড়ি ছিল না। এমনকি সে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে গোঁফও ছেঁটে ফেলে দেয়।
এ নিয়ে মামলায় এজাহারনামীয় ৬ আসামিসহ মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।