প্রেস বিজ্ঞপ্তি : যশোরে দশ বছর আগে মরণব্যাধি ক্যান্সারে মাকে হারিয়েছে শতাক্ষী দাশগুপ্ত কথা। এখন নিজেও মরতে বসেছে সেই ক্যান্সারেই। কথার স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া শিখে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। সেই স্বপ্ন পূরণে কী সংগ্রামই না করেছে মেয়েটি। এখন আগ্রাসী ক্যান্সার মেয়েটির স্বপ্নকে গ্রাস করতে চলেছে। মায়ের পথ ধরে কথাও কি হারিয়ে যাবে; নাকি সকলের সহযোগিতায় তার স্বপ্ন পাবে পূর্ণপ্রাণ!
যশোর শহরের সিটি কলেজপাড়া এলাকার তুহিন দাশগুপ্ত’র মেয়ে শতাক্ষী দাশগুপ্ত কথা (২৩)। দশ বছর আগে কথা’র মা মিতা দাশগুপ্ত ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। পরিস্থিতির কারণে স্ত্রীর মৃত্যুর পর মেয়ে কথা’কে বিয়ে দিয়ে দেন তুহিন দাশগুপ্ত। স্বামী জয়ন্ত ঘোষের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঘরীহুদা গ্রামে। কথা তখন ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। একদিকে বাবা, ছোটভাই, অন্যদিকে স্বামীর সংসার। সবকিছু সামলেও লেখাপড়া থেকে বিচ্যূত হয়নি কথা। এখন সে যশোর সরকারি সিটি কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। কথার স্বপ্ন ছিল, লেখাপড়া শিখে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। এজন্য সে সংগ্রাম করেই অব্যাহত রেখেছিল রেখেছিল লেখাপড়া। কথার স্বামী জয়ন্ত ঘোষ জানান, কথার শরীরে টিউমার দেখা দিলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অপারেশনের পর তার বায়োপসি রিপোর্টে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পরে। এরপর কোলকাতার এইচসিজি ইকো ক্যান্সার সেন্টারে ডা. জয়দীপ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় চিকিৎসা। গত আট মাস ধরে সেখানে ১২টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয় তাকে। প্রথমে শারিরীক অবস্থার উন্নতি হলেও কেমো শেষ হওয়ার পর আবারও শরীরে ক্যান্সারের জীবাণু পাওয়া যায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছে, আরও ৬টি কেমোথেরাপিসহ বোনমেরো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন প্রায় ২০ লাখ টাকা। জয়ন্ত ঘোষ আরও বলেন, তারা মধ্যবিত্ত পরিবার। গ্রামের বাজারে তার ছোট কাপড়ের দোকান। সেই উপার্জনে সংসার চলে। এরই মধ্যে কথার চিকিৎসার জন্য তারা প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি তারা কোলকাতা গিয়েছিলেন, ফিরেছেন গত ৪ অক্টোবর। একমাস পর কথা’কে নিয়ে আবারও যেতে বলেছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু অর্থের সংস্থান নিয়ে ঘোর অন্ধকারে রয়েছেন তারা। কথার বাবা তুহিন দাশগুপ্ত বলেন, আমার মেয়েকে বাঁচাতে প্রয়োজন ২০ লাখ টাকা। দেশের কোটি কোটি মানুষ ১ টাকা করে দিলেও তো অনেক। সমাজের সহৃদয় বিত্তবান মানুষদের প্রতি তিনি কথাকে বাঁচাতে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন। কথার স্বামী জয়ন্ত ঘোষ বলেন, সকলের সহযোগিতা পারে কথা’র স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে। আর তা না হলে মায়ের পথ ধরেই হয়তো নিভে যাবে কথা’ স্বপ্ন-জীবন প্রদীপ।
যেভাবে সাহায্য পাঠাবেন: ব্যাংক হিসাব : শতাক্ষী দাশগুপ্ত, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নং: ০১৪২০৫০০২৫০০৫, ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড যশোর শাখা। বিকাশ নং: ০১৭২৪১১১০৬৩ (জয়ন্ত ঘোষ), ০১৮২৩৬৪৮৪০১ (কথা) রকেট নং: ০১৭২৪১১১০৬৩৫, নগদ নং: ০১৭২৪১১১০৬৩
পূর্ববর্তী পোস্ট