বেনাপোল প্রতিনিধি: সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যার অভিযুক্ত এসআই আকবারের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্ত এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ও সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্তব্যরত পুলিশ ও বিজিবি’র কর্মকর্তারা।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও বিস্তীর্ণ সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এ পথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ জন্য দেশের অন্যান্য সীমান্তের পাশাপাশি বেনাপোল সীমান্তের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষী বিজিবি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব বলেন, এসআই আকবারের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে একটি বার্তা এসেছে। কোনো কৌশল অবলম্বন করে সে যেনো ভারতে পালাতে না পারে, তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বেনাপোল কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মিজানুর রহমান জানান, তারা সব ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক থেকে কাজ করছেন। আর এ ধরনের খবর পেয়ে সীমান্তে কর্তব্যরতদের আরো সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার মধ্যরাতে সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির সাময়িক বরখাস্ত ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে রায়হান নামে এক যুবককে তুলে নিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে চাঁদার দাবিতে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। পরের দিন সকালে তিনি মারা যান। নির্যাতনের সময় এক পুলিশের মুঠোফোন থেকে রায়হানের পরিবারের কাছে কল করে টাকা চাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকালে ফাঁড়ি থেকে পরে হাসপাতালে গিয়ে রায়হানের মরদেহ শনাক্ত করেন।
ঘটনার শুরুতে ওই ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ছিনতাইকারী সন্দেহে নগরের কাস্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে রায়হান নিহত হয়েছেন বলে প্রচার চালায়। কিন্তু গণপিটুনির স্থান হিসেবে যেখানকার কথা বলেছিল পুলিশ সেখানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের স্থাপন করা ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়নি। এতে সন্দেহ হয় পুলিশের নির্যাতনের প্রতি।