নিজস্ব প্রতিনিধি : দ্বিতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া কিশোর আলী শেখের জামিন না’মঞ্জুর করে যশোহরের পুলেরহাট সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রোববার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ মোস্তাফিজুর রহমান আসামীপক্ষের জামিন আবেদন শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙা ইউনিয়নের এক ইজিবাইক চালকের মেয়ে (৮) ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে খাবার দেওয়ার নাম করে ঘরে ডেকে নিয়ে খুন করার ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে তারই চাচা একই গ্রামের মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাবলু শেখের ছেলে আলী শেখ (১৫)। মেয়ে বাড়িতে আসার সময় তার হাঁটা চলা অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় জিজ্ঞাসা করতেই সে বাবা ও মায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়। মেয়েটিকে বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেয়েটিকে নিয়ে হাসপাতালে বা থানায় না যেতে একই গ্রামের আকবর সরদারের ছেলে সদর হাসপাতালের কর্মী মাগফুর রহমান ও মহসিন শেখের ছেলে তুহিন শেখ তাদের ইজিবাইক অবরোধ করে। তারা টাকা অথবা জমি নিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। ঘটনার রাতেই ধর্ষিতার বাবা বাদি হয়ে আলী শেখের নাম উল্লেখ করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার দুপুরে আলী শেখকে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শনিবার বিকেলে আলী শেখকে আদালতে পাঠানো হলে সংশ্লিষ্ট আদালত বন্ধ থাকায় তাকে থানায় ফেরৎ পাঠানো হয়। রোববার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তার পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. তামিম আহম্মেদ সোহাগ জামিন আবেদন করেন। কিশোর বয়সের এই যুবককে বাবা ও মা অথবা যে কোন শর্তে জামিন আবেদন জানানো হয়। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু ও বেসরকারি সংস্থা স্বদেশ এর প্যানেল আইনজীবী অ্যাড. নাজমুন্নাহার ঝুমুর ধর্ষণ মামলার এ ধরণের কিশোরকে সংশোধনাগারে না পাঠিয়ে জামিনে মুক্তি দিলে কিশোরদের মধ্যে ধর্ষণ প্রবণতা বাড়বে বলে আদালতে উপস্থাপন করেন। একপর্যায়ে বিচারক শেখ মফিজুর রহমান তার জামিন না’মঞ্জুর করে যশোরের পুলেরহাট কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।#
পূর্ববর্তী পোস্ট