অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের গাড়ির সাথে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম নামের এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগেছিল। যার ফলে ওই কর্মকর্তাকে এমপির গাড়িতে থাকা লোকজন এসে বেদম মারধর করেন।
এরপর রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডি থানায় গিয়ে দেখা যায়, সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল উভয়টিই সেখানে আছে। গাড়ির ভেতরে ওই সময় সাংসদ হাজী সেলিম ছিলেন না। তবে তাঁর ছেলে ও একজন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। গাড়ি দুটির দেখভাল করছিলেন থানার এএসআই আবদুল্লাহ জাহিদ।
তিনি জানান, দুই পক্ষই থানায়। আলাপ-আলোচনার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাত ৮টার দিকে তার সামনেই এমপির গাড়ি থেকে নেমে এসে নৌবাহিনীর অফিসারকে মারধর করেন একজন। তিনি ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেছেন বলেও জানান। ভিডিওতে দেখা যায়, আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা নিজেকে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম বলে পরিচয় দেন। এ সময় ওয়াসিম বলেন, তিনি বই কিনে স্ত্রীসহ মোটরবাইকে ফিরছিলেন। সাংসদের গাড়ির সঙ্গে তাঁর মোটরসাইকেলের ঘষা লাগে। তিনি তখনই মোটরসাইকেল থামান এবং কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু গাড়ির ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা কিছুই শুনতে চাননি। গাড়ি থেকে বেরিয়ে দুই ব্যক্তি মারধর শুরু করে। মারধরের কারণে তাঁর (ওয়াসিম) দাঁত ভেঙে গেছে। তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত তোলা হয়েছে বলেওঅভিযোগ করেন তিনি।
ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সাংসদের গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান চালক। পরে পুলিশ গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে আসে। ভিডিওতে গাড়ির নম্বর দেখা যায় ঘ ১১-৫৭৩৬। গাড়িটি হাজী সেলিমের বলে জানায় ধানমন্ডি থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাজী সেলিমের মুঠোফোনে কল এবং খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। সূত্র-প্রথম আলো। সূত্র: পূর্ব-পশ্চিমবিডি