নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের সদরের ধুলিহরের বেড়বাড়ী গ্রামে সরকারি রাস্তায় ইটের সোলিং করনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
বেড়বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা হবিবর রহমানের স্ত্রী জাহানারা, গোলাম রহমান, মনিরুল ইসলাম, শাহানারা খাতুনসহ অনেকেই জানান, ধুলিহর ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের বেড়বাড়ী গ্রামের আব্দুর রহিমের বাড়ি হতে ধুলিহর কবর স্থান অভিমুখ পর্যন্ত ৭২০ ফুট রাস্তায় ইটের সোলিং করনের লক্ষ্যে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) অর্থ বছর : ২০১৯-২০২০ (২য় কিস্তি)এর আওতায় ২লক্ষ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। রাস্তাটিতে ৭২০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৬.৫ ফুট প্রস্থ অনুযায়ী নির্মাণের কথা থাকলেও প্রকল্পের ঠিকাদার আতাউর রহমান নিজের ইচ্ছামত রাস্তাটির দৈর্ঘ্য ৭২০ ফুটের পরিবর্তে ১৮৫ থেকে ২০০ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৬.৫ ফুট প্রস্থ এর পরিবর্তে ৬ ফুট রাস্তা নির্মাণ করেছে। এবিষয়ে আমরা ঠিকাদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলার কথা বলে এড়িয়ে যান। উক্ত রাস্তাটির কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যা সরেজমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। এলাকাবাসীর অবিলম্বে স্থানটি পরিদর্শন করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
তারা আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীর চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বারবার অনুরোধের পর রাস্তাটির কপালে ইটের সোলিং পড়লেও আংশিক রাস্তা করা হয়েছে।
এদিকে উক্ত প্রকল্পের কাজে ঠিকাদার হিসেবে যিনি আছেন তিনি প্রকতপক্ষে ঠিকাদার নন। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ তাকে ঠিকাদার দেখিয়ে উক্ত রাস্তার কাজ সম্পন্ন করছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে ঠিকাদারা আতাউর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে শুক্রবার সন্ধ্যায় একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করলেও তিনি রিসিভ না করায় সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য আনিছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এলজিএসপি-৩ কাজের পেশাদার ঠিকাদার লাগে না। পরিষদবর্গ নিজেরাই নিয়োগ করে কাজ করেন। এছাড়া রাস্তাটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। ৩৭ ফুট কাজ এখনো বাকী আছে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে।
সদর উপজেলা প্রকৌশলী জাহানারা বেগমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিনাজুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে শুক্রবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করলেও তিনি রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট