স্পোর্টস ডেস্ক : ফেররান তোরেসের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে জার্মানিকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে উয়েফা নেশনস লিগের শিরোপা লড়াইয়ে এগিয়ে গেল স্পেন। ফাইনালসের টিকিট পেতে জার্মানের প্রয়োজন ছিল একটি ড্র। অথচ তারা কি না পেল নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়।
মঙ্গলবার রাতে সেভিয়ায় ‘এ’ লিগের ৪ নম্বর গ্রুপের ফাইনালসে ওঠার লড়াইয়ে ০-৬ গোলে জিতেছে স্পেন। নিজেদের দীর্ঘ ইতিহাসে কোন প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এত বড় ব্যবধানে আগে কখনও হারেনি জার্মানি।
ম্যাচে স্পেনের ফরোয়ার্ড ফেররান তোরেস একাই করেছেন তিন গোল। বাকি তিন গোল করেছেন আলভারো মোরাতা, রদ্রি ও মিকেল ওয়ারজাবাল।
ম্যাচের ১৭ মিনিটের সময় প্রথম গোলটি করেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোরাতা। মিনিট পাঁচেক আগে কানালেসের ইনজুরিতে মাঠে ঢোকা ফাবিয়ান রুইজের ভেতরে বাকানো কর্ণার থেকে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে নিখুঁত হেড করেন মোরাতা। যা ঠেকানোর সাধ্য ছিল না জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের।
এরপর ম্যাচের ৩৩ মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিকের প্রথম গোলটি করেন ফেররান তোরেস। বাম পাশ দিয়ে উঠে আসা হোসে গায়ার কাছ থেকে বল পান রুইজ। তিনি সামনে বাড়িয়ে দেন ফেররানের উদ্দেশ্যে, যিনি সহজেই পরাস্ত করেন নয়্যারকে।
এর মিনিট পাঁচেক পর আবারও আক্রমণে ওঠে স্পেন। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে থাকা জার্মানি সেই আক্রমণ কোনোমতে কর্ণারের বিনিময়ে ঠেকায়। তবে কোকের নেয়া সেই কর্ণার থেকেই দারুণ এক হেডে স্কোরশিটে নাম তোলেন রদ্রি, ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্পেন।
বিরতি থেকে ফিরে জার্মানির লক্ষ্য ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু সেটিও করতে দেয়নি স্পেন। বারবার আক্রমণে উঠে জার্মানির রক্ষণের দুর্বলতা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
এরই মাঝে ৫৫ মিনিটের সময় নিজের দ্বিতীয় ও দলের হালি পূরণ করেন ফেররান। পাল্টা আক্রমণে হোসে গায়ার পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে আনন্দে মাতেন এ তরুণ। এর ১৬ মিনিট পর ফাবিয়ান রুইজের পাস পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফেররান তোরেস।
পুরো ম্যাচে স্পেনের জাল বরাবর একটি শটও নিতে পারেনি জার্মানি। উল্টো নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে জার্মানির জালে অর্ধ ডজন পূরণ করেন মিকেল ওয়ারজাবাল।
এ জয়ে ৬ ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পরের পর্বে পা রাখলো স্পেন। দুই জয় ও তিন ড্রয়ে জার্মানির পয়েন্ট ৯। এক ম্যাচ করে কম খেলা ইউক্রেন ও সুইজারল্যান্ডের পয়েন্ট যথাক্রম ৬ ও ৩।