অনামিকা বুশরা নিশি : বিয়ে, উৎসব-আয়োজনে মেহেদি আমাদের সকলেরই প্রিয়। আজ আমরা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি নজরকাড়া মেহেদির সব ডিজাইন।
মেহেদি (lawsonia inermis, মেহেদি, মেহেন্দি, মেন্দি। ইংরেজীতে হেনা,যা আরবি হিন্না থেকে এসেছে)এক ধরনের সপুষ্পক উদ্ভিদ, যার পাতা প্রাচীনকাল থেকে ত্বক,চুল,নখ,পশুর চামড়া ও পশম রঙিন করার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।এই উদ্ভিদের পাতার সাথে অন্যান্য দ্রব্য মিশিয়ে আধা ক্রত্রিম পদার্থ তৈরি করা হয়,সেটাও মেহেদি নামেই পরিচিত।দুনিয়ার বহু দেশে এটি উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।বাংলাদেশে ঈদ ও বিয়ে উপলক্ষে এর ব্যবহার অনেকটা আবশ্যিকরূপে প্রচলিত। মেহেদি লাগানোর খুঁটিনাটি বিষয়-
বর্তমানে আর কষ্ট করে মেহেদি পাতা সংগ্রহ করে বেটে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।এখন মেহেদি লাগানো অনেকটা ঝামেলাহীন। মেহেদির টিউব দিয়ে অনায়াসে করে নিতে পারেন মনের মতো নকশা।চাইলে হাতের পাশাপাশি পাও রাঙিয়ে নিতে পারেন মেহেদির ছোঁয়ায়।এক সময় বর্তমানের মত সূক্ষ কারুকাজ করা নকশা। বাটা মেহেদি দিয়ে হাতের মাঝখানে আঁকা বৃত্ত আর চারিদিকে গোল করে ফোটা-এই ছিলো এক সময়ের প্রচলিত নকশা।টিউব মেহেদির দ্বারা এখন সূ্ক্ষ্ণ কারুকাজ করা নকশা মানায় সেই দিকেও লক্ষ রাখা আবশ্যক। ছোট হাতের ক্ষেত্রে একপাশে লম্বালম্বি ডিজাইন ভালো মানায়। আর বড় হাতের ক্ষেত্রে যদি হাতের পাতা জুড়ে নকশা করা যায় সেই ক্ষেত্রে গাল্ফ ডিজাইন করা যেতে পারে অথবা লোটাস(পদ্ন) পিকক(ময়ূর) এর ডিজাইন করা যেতে পারে। কনুই পর্যন্ত নামিয়ে নিতে পারেন নকশাকে।আবার কব্জি থেকে নামিয়ে লাগাম টেনে ধরতে পারেন নকশার।
পূর্ববর্তী পোস্ট