সোহরাব হোসেন : আশাশুনিতে তীব্র গরম আর ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অস্থির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমের প্রখরতা প্রাকৃতিক হলেও দিনে রাতে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষ চরম বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তবে বিদ্যুৎ অফিস বলছে চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ায় লোডশেডিং বেড়েছে।
তবে হঠাৎ করে আশাশুনিতে এই মুহুর্তে সর্বোচ্চ গরম পড়ছে। এই পরিস্থিতি সহসাই কমছে না। এদিকে তীব্র গরমে নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে শিশুরা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। আশাশুনিতে হাসপাতাল সহ প্রাইভেট ক্লিনিকে আগত রোগিদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। বর্তমানে চলমান এইচএসসি/আলিম পরীক্ষার্থীরা চরম কষ্টে পরীক্ষা দিচ্ছে।
আরার কাদাকাটি গ্রামের ডাঃ আলহাজ্ব গ্ওাছুল হক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তীব্র গরম পড়ছে যা অস্বাভাবিক তার উপর বিদ্যুৎ অফিস যেন আমাদের সাথে তামাশা শুরু করেছে। গত ২ দিনে ৪৮ ঘণ্টায় খুব বেশি হলে ৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল বাকি সময় বিদ্যুৎ ছিলনা। এই গরমে রাতে দিনে যদি এভাবে লোডশেডিং হয় তাহলে মানুষ বাঁচবে কিভাবে। আর বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করলে সব সময় ব্যস্ত পাওয়া যায়। মাঝে মধ্যে ধরলে উল্টো ফোনে হাসাহাসি করে। মনে হয় যেন তামাশা করছে। গাছ কাটার নাম করে সারা দিন বিদুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখে।
আশাশুনির বড়দলের মন্টু সরদার বলেন, দিনে যেমন তেমনভাবে চলে। তবে রাতে বা গভীর রাতে লোডশেডিং কেন হয় এটা বুঝি না। এতে করে ঘরের ছোট শিশুরা পর্যন্ত প্রচ- কান্নাকাটি করে উঠে। মোটকথা একেবারে অসহ্যকর অবস্থা, আমাদের দাবি হচ্ছে, যদি লোডশেডিং দিতে হয় তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় দিক। সেটা ধারাবাহিক ৩/৪ ঘণ্টা হলেও আপত্তি নেই। তবে আধ ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং এটা মেনে নেওয়া যায় না।
আশাশুনির দরগাহপুর ইউনিয়নের আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিনুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে। আবার উচ্চমূল্য দিয়ে ভারত থেকে বিদ্যুৎ এনেছে। কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎ এনেছে সে হিসাবে বিদ্যুতের দামও বাড়িয়েছে। বর্তমানে আমরা বর্ধিত বিদ্যুতের মূল্য দিচ্ছি তাহলে কেন এই ঘন ঘন লোডশেডিং? তারপরও আমাদের দাবি থাকবে লোডশেডিং দিলে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় লোডশেডিং দেওয়া হউক। এভাবে ঘনঘন নয়। এদিকে তীব্র গরম ও লোডশেডিং যে বিপর্যস্ত মানুষের উপর মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে আছে নানান ধরনের রোগব্যাধি। এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
এ ব্যাপারে ডা. আঃ হাকিম বলেন, গরমে শিশুদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা রাখতে হবে। তাদের খাবার গোসলসহ সব বিষয়ে ভালভাবে নজর দিতে হবে। এ কারণে হঠাৎ গরম বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েকদিনে প্রচুর শিশু রোগী আসছে। এখনো অনেক রোগী ডায়রিয়া ও গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট