হাসান হাদী : সাতক্ষীরা শহরে সারাদিন ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ থাকে আবার ঘণ্টা ধরে চলে লোড শেডিং। শহরের বাইরে পল্লী বিদ্যুতের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। তীব্র তাপদাহের সাথে অবর্ণনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাধারণ মানুষের জীবনে যেন নাভিঃশ্বাস উঠেছে। পরিবারের প্রবীণ সদস্য আর শিশুদের অস্থিরতা স্পর্শ করছে তারুণ্যকেও। আর তাই যেকোন মুহুর্তে ফুঁসে উঠতে পারে ক্ষুব্ধ মানুষ। অবনতি ঘটতে পারে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। ইতিমধ্যে রবিবার কালিগঞ্জে একটি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সচেতন মানুষ মনে করছেন এ অবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে এখনই। যেকোন মূল্যে বিদ্যুতের লোড শেডিং সহনীয় মাত্রার নিয়ে আসতে হবে।
সরকারের নজরকাড়া উন্নয়ন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে মানুষ অভ্যস্থ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু চলতি সপ্তাহে সাতক্ষীরা জেলার সর্বত্র বিদ্যুতের সরবরাহে ভয়াবহ বিপর্যয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে জনপ্রতিনিধি মনে করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জনপ্রতিনিধি আমাদের জানিয়েছেন, যদি ন্যাশনাল গ্রিডের বা অন্যকোন ক্রুটির কারণে বিদ্যুতের এই বিভ্রাট ঘটে থাকে সেটিও সাধারণ গ্রাহকদের জানানোর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। নইলে অহেতুক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
আমাদের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন প্রতিনিধিরা জানাচ্ছেন, মফস্বলের বিদ্যুৎ বিতরণে সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় হলো কোন রকম ঝড় বৃষ্টি হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় সমস্ত অঞ্চলকে। কোন কোন সময় ৮/১০ঘণ্টা টানা বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়ে মানুষকে। পিডিবি’র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগের কোন অন্ত নেই। এমনকি কয়েকজন উপজেলা চেয়ারম্যান জানাচ্ছেন, পল্লী বিদ্যুতের স্থানীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ কোন সঠিক তথ্য সময়মত পায় না। মানুষকে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সেবা দিতে তাদের আন্তরিকতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।
অন্যদিকে, সাতক্ষীরা শহরের জনজীবন এখন অসহনীয় লোড শেডিং-এ বিপর্যস্ত। হাসপাতালে রোগীর দীর্ঘশ্বাস, বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়ীর কপালে দুঃশ্চিন্তার বলিরেখা, বাড়িতে পরীক্ষার্থী আর শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ আর শিশু ও প্রবীণদের কষ্ট এখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌছেছে। এ অবস্থার উন্নতি না হলে সাধারণ জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে যেকোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এ ব্যাপারে জানতে সাতক্ষীরার আবাসিক প্রকৌশলী ও পাটকেলঘাটা পল্লী বিদ্যুতের জিএম উভয়ের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন না ধরার তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পূর্ববর্তী পোস্ট