অনলাইন ডেস্ক : মহামারি করোনার কারণে এ বছর দেশের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চলছে লটারির মাধ্যমে। সোমবার (১১ জানুয়ারি) অনলাইনে ভর্তির ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ঠাকুরগাঁওয়ের সরকারি বালক বিদ্যালয়ে ভর্তির ‘সুযোগ’ পেয়েছে এক মেয়ে। বিষয়টি নিয়ে শহরজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিভাবকদের ভুলেই এ কাণ্ড ঘটেছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রকাশিত ফলাফলের তালিকায় দেখা গেছে, সেখানে নাম এসেছে এক মেয়ে শিক্ষার্থীর।
বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘ভর্তির সুযোগ’ পাওয়া মেয়ে শিক্ষার্থী হলো-, ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সনগাও গ্রামের ওয়াসিমা আক্তার লুবনা। লুবনার ঠাকুরগাঁও বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ডে শিফটের ভর্তি তালিকায় নাম এসেছে।
এ বিষয়ে বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পিজুস কান্ত রয় বলেন, ‘ওই ছাত্রী শিক্ষার্থীকে অন্য কোথাও ভর্তি নেয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।’
কীভাবে বালক বিদ্যালয়ে একজন মেয়ে ভর্তির সুযোগ পেল, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অভিভাবকের ভুলের কারণে এমন হয়েছে। কারণ, ভর্তির ফরমে পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম থাকে। ওই পাঁচটির মধ্যে যেকোনো বিদ্যালয় অভিভাবকরা সিলেক্ট করেন। এখানে হয়তো ভুলে তারা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় সিলেক্ট করেছিলেন। যে কারণে লটারিতে বালক বিদ্যালয়ে সে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।’
ওই শিক্ষার্থীর বাবা মাদরাসা শিক্ষক হায়দার আলি জানান, আবেদন প্রক্রিয়ায় আমার কোনো ভুল ছিলো না। এখন আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। তাই সকলের সাহায্য কামনা করছি।