অনলাইন ডেস্ক : সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) বান্ধবী অবন্তিকা বড়ালকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে অবান্তিকা বড়ালকে গ্রেপ্তার করে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে।
এর আগে অবন্তিকাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক উপ-পরিচালক তদন্ত কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত নোটিশ অবন্তিকা বড়ালের রাজধানীর ধানমন্ডির ফ্ল্যাটে পাঠানো হয়। ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল নোটিশে। তবে দুদকের চিঠি পাওয়ার পরও তিনি যথাসময়ে হাজির হননি। ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে হাজির হতে পারেননি বা কবে হাজির হতে পারবেন- এ বিষয়েও লিখিত বা ফোনে দুদককে অবহিত করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পলাতক আসামি পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারি রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) অর্থাৎ ইন্টারপোলের ঢাকা শাখার অনুরোধে ইন্টারপোল এ রেড নোটিশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্টারপোল শাখা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও সাপোর্টিং এলিমেন্টস সহকারে ইন্টারপোল সদর দপ্তরে আবেদনটি পাঠায়। ইন্টারপোলের একটি বিশেষ কমিটি আবেদন ও এর সাথে সংযুক্ত ডকুমেন্টস ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আবেদনটি অনুমোদন করে।
ইন্টারপোলের কেন্দ্রিয় ওয়েবসাইটে প্রকাশের পাশাপাশি সারাবিশ্বে বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের শাখায়ও পাঠানো হয়েছে এ রেড নোটিশ। এটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য জারি থাকবে। তবে প্রয়োজনে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ নবায়ন যোগ্য বলে জানা যায়।
রেড নোটিশে পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন দায়ের করা দুর্নীতি দমন আইন, ২০০৪ এর ২১(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
গত বছর বিদেশে পালিয়ে যান পিকে হালদার।