রাজনীতি ডেস্ক : নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেদ সাইফুল্লাহ বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খালেদ সাইফুল্লাহ মোবাইল প্রতীক নিয়ে ১৩ হাজার ৪১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আক্তার হোসেন ফয়সল পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৩৮ ভোট। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন হারুন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২৬ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এ পৌরসভার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপি নির্বাচনে কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
খালেদ সাইফুল্লাহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণের বড় ভাই। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।
নির্বাচনে সংসদ সদস্যের সহধর্মিণী ও বেগমগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী জেসমিন আক্তারের ভাসুর সাইফুল্লার পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় ভোট চাওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এমপির অনুসারীদের এলাকায় নৌকার বিরোধিতা করে ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালাতেও দেখা গেছে। আর খালেদ সাইফুল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও ক্লিপ বাজিয়ে এলাকায় মোবাইল ফোন প্রতীকে প্রচারণা চালান।
চৌমুহনী পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা মজিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘দুঃখজনক হলো, স্থানীয় এমপি ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন তার বড় ভাই খালেদ সাইফুল্লাহকে এখানে নৌকার বিরুদ্ধে মেয়র প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। তার স্ত্রীকে ভাসুরের পক্ষে ভোট চাইতেও দেখা গেছে। সংসদ সদস্যের ভাই ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সিরাজুল ইসলাম স্বপনও বড় ভাইয়ের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন।’
বেগমগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক টিপু বলেন, ‘তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করেন এমপি সাহেব আসলেই চান না নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিতুক। তিনি পৌরসভার ভোটে ভাইকে সাহায্য করছেন; যদিও আচরণবিধি ভঙ্গ হওয়া এড়াতে সরাসরি মাঠে নামছেন না। এটা আওয়ামী লীগের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এটি নিরসনে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ দরকার।’
জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক মুন্না বলেন, ‘সংসদ সদস্যের সমর্থকরা নৌকার পক্ষে কাজ করছে না।’