বিদেশের খবর : প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মের্কেল ব্রিটিশ রাজপরিবারের বর্ণবৈষম্য নিয়ে বিস্ফোরক সব মন্তব্য নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে ব্রিটেনজুড়ে। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজতন্ত্রের বিরোধিতায় হ্যাশট্যাগ ভাইরাল হয়েছে।
অপরাহ উইনফ্রেকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে মেগান অভিযোগ করেন, তার ছেলে অর্চি গর্ভে থাকতে গায়ের রং নিয়ে শঙ্কায় ছিল রাজপরিবার। তার সঙ্গে ওই দিনগুলোতে কী কী দুর্ব্যবহার করা হয়েছে, সেসবের বর্ণনা দেন তিনি।
সাক্ষাৎকারটি প্রচার হয় সিবিএসে। এরপর শুধু ব্রিটেন নয়, বিশ্বজুড়েই সমালোচনা শুরু হয়। ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার রাত থেকে #AbolishTheMonarchy টুইটারে ট্রেন্ড করছে।
উইনফ্রে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, মেগান বর্ণবাদের যে অভিযোগ তুলেছেন সেটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে উদ্দেশ্য করে নয়।
মেগান ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, সন্তানের গায়ের রং নিয়ে উদ্বেগের কথা রাজ পরিবারের বিশেষ এক সদস্য তাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
মেগানের মা কৃষ্ণাজ্ঞ, বাবা শ্বেতাঙ্গ। নিজে কিছুদিন মডেলিং করেছেন। তার এমন ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে তাকে ভালোভাবে নেননি শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। এক সময় স্বামীকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে হ্যারি-মেগান দম্পতি ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রতিনিধিত্ব আর না করার সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্বাধীন জীবনযাপন করতে তারা রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যান। বর্তমানে এই দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন।