দেশের খবর : দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে আরো ৩ হাজার ৯০৮ জনের দেহে, যা গত নয় মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
রোববার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭১৪ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৯০৪ জনের।
নতুন করে আরো ২০১৯ জন সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪১ জন। সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৫ জনের মধ্যে ২১ পুরুষ ও ১৪ জন নারী। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব ৩, চল্লিশোর্ধ্ব ৬, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫ ও ষাটোর্ধ্ব ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিভাগ অনুযায়ী ঢাকা বিভাগে ২৫ জন, বরিশালে পাঁচজন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে দুইজন করে, খুলনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ঘোষণা আসে। দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘোষণা আসে ১৮ মার্চ।
দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। ডিসেম্বর থেকে সংক্রমণ আবার কমতে শুরু করে। তবে পাঁচ সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ আবার ঊর্ধ্বমুখী।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এদিন গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।