নিজস্ব প্রতিবেদক : হেফাজত ইসলামের ডাকা হরতালে সাতক্ষীরায় মাঠ ছিল আওয়ামী লীগের দখলে।
সকাল থেকে সাতক্ষীরার নির্ধারিত সকল রুটে যানবাহন চলাচল করেছে স্বাভাবিক অন্যান্য দিনের মতো। বেলা বাড়ার সাথে সাথে দোকানপাটও খোলা হয়। এছাড়া অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসও খোলা ছিল। ভোমরা স্থল বন্দরেও আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল। হরতালের সমর্থনে দুপুর পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ বা পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বেলা ১০ টা থেকে শহরের খুলনা রোড মোড়স্থ বঙ্গবন্ধু মুর্যাল চত্ত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয়।
‘উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী হেফাজত ইসলামের তথাকথিত হরতাল ও সহিংস কর্মসূচির প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগের অবস্থান কর্মসূচি’র ব্যানারে এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রায় ১ দশকের অধিক সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় রয়েছে। দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সম্প্রতি দেশে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন হলো। এই অনুষ্ঠানে বাইরের দেশের সরকার প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। এরফলে দেশ-বিদেশের বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে আরো অনেক বেশি উজ্জ্বল হয়েছে। সেই বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে বিদেশীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী হেফাজত ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের লোকজন শান্ত দেশকে অশান্ত করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার পায়তারা চলমান রেখেছে। বক্তারা এদেরকে প্রতিহত করার আহবান জানান।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. আফসার আলী, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেজুঁতি, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শামীমা পারভীন রতœা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ডা: মুনছুর আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুল সান, কার্যনির্বাহী সদস্য আসাদুজ্জামান অসলে, আব্দুল কাদের, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রশিদ, সাবেক সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদ মোস্তাক আলী, জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ময়ুর ডাক্তার, খন্দকার আরিফ হাসান প্রিন্স প্রমুখ।