অনলাইন ডেস্ক : হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরবিরোধী আন্দোলনের নামে সরকার উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) রিমান্ডে থাকা মামুনুল হক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ।
গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন হেফাজত নেতাকর্মীরা। সেই বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। ওই সংঘাতে প্রাণ হারান অন্তত ১৮ জন। সেসব ঘটনায় একাধিক মামলা হয়। মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত রোববার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনুল হককে। ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় সোমবার (১৯ এপ্রিল) তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে হারুন-অর-রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, রিমান্ডে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হক।
তিনি জানিয়েছেন, তিনি কওমি মাদ্রাসার কোমলমতি ছাত্রদের উসকানি দিয়ে মাঠে নামিয়েছিলেন। তার উদ্দেশ্য ছিলো (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতার আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সরকারকে উৎখাত করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা।
ডিসি হারুন-অর-রশিদ বলেন, হেফাজতের নেতাকর্মীদের উসকানি দিতেন মামুনুল। তিনি বলতেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে হেফাজতের সমর্থন ছাড়া কেউ ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।
আরেকটি মামলার বিষয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, গত বছরের ৭ মার্চ (মামলার বাদীকে) মারধরের ঘটনার ভিডিও দেখানো হলে মামুনুল দুঃখ প্রকাশ করেন।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার প্রাথমিক তদন্তে ওই সহিংসতায় মামুনুল হকের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।