দেশের খবর : বারণ করা সত্ত্বেও চীনের সিনোফার্মের টিকার দাম জানাজানি হওয়ায় বাংলাদেশকে এখন সেই টিকা পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দুঃখ প্রকাশ করে চীনকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ।
বেইজিংকে দেওয়া চিঠিতে টিকার দাম জানাজানি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে উল্লেখ করে এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, টিকার দাম গণমাধ্যমে আসার কারণে প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী ১০ ডলারে টিকা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা বেইজিংকে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছি। এতে বেইজিংয়ের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে টিকার দাম প্রকাশ করা হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
করোনা প্রতিরোধে চীনের সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ কিনছে বাংলাদেশ। মন্ত্রিপরিষদের ভ্যাকসিন ক্রয় কমিটি চীনের এই ভ্যাকসিন কেনার অনুমোদন দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে চীনা ভ্যাকসিন কেনার বিষয়টি অনুমোদন দেয়। প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতি চালানে ৫০ লাখ করে তিন ধাপে দেড় কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার কথা হয় চীনের সঙ্গে। এই টিকার ডোজপ্রতি দাম ধরা হয়েছিল ১০ ডলার। বাংলাদেশের কাছ থেকে টিকার চাহিদাপত্র পাওয়ার পর বাণিজ্যিক স্বার্থে টিকার দাম যেন কোনোভাবে প্রকাশ করা না হয়, সেটি বলে দেয় চীন।
কিন্তু গত ২৭ মে চীনের কাছ থেকে দেড় কোটি টিকা কেনার প্রস্তাব সরকারের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দেওয়ার পর বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আকতার সাংবাদিকদের টিকার দাম বলে দেন। তিনি বলেন, চীন থেকে ৫০ লাখ করে তিন ধাপে দেড় কোটি ডোজ টিকা আনা হবে। প্রতি ডোজের দাম পড়বে ১০ ডলার। সে হিসাবে ১ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা খরচ হবে।
চুক্তি হওয়ার আগেই এই দাম গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। এ কারণে ১০ ডলারে টিকা পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা ও দ্রুত টিকা পাওয়া নিশ্চিত করতে চীনকে চিঠি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও চিঠির জবাব এখনো দেয়নি চীন।