আসাদুজ্জামান : সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে ৭ জন মারা গেছেন।
এনিয়ে, জেলায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬৩ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্ততঃ ২৮৯ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৭৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ৪৫ দশমিক ০২ শতাংশ। এদিকে, প্রতিদিনই নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে। বর্তমানে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ৩৯১ জন করোনা ও করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ৪১ জন পজেটিভ রুগী ও বাকীরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ৭৮৬ জন। এছাড়া জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬৭ জন।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ কুদরত-ই-খুদা সকলকে মাস্ক পরার এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
এদিকে, চলমান লকডাউনের ১৯তম দিনেও সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই সাধারন মানুষের মাঝে। চলছে ঢিলে ঢালা লকডাইন। শহরের অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ থাকলেও হাট-বাজার গুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষনীয়। তবে, পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রন করছেন এবং সাধারন মানুষ যাতে বিনাপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না আসেন সে জন্য সচেতনতা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সাথে যারা বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসছেন ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেননা তাদের ভ্রাম্যমান আদালতে মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। জব্দ করা হচ্ছে মটরসাইকেল, ভ্যান ও ইজিবাইক। চলমান লকডাউন গ্রামে গঞ্জে তেমন মানা হচ্ছে না। তবে, করোনা সংক্রমন কমাতে হলে লকডাউন কঠোর হওয়া দাকার বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লকডাউনে মাক্স পরা, সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলা ও ঘরের বাইরে না আসার জন্য সচেতনতা মূলক প্রচারনা চালানো হচ্ছে। একই সাথে যারা বিনাপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করে জরিমানা ও গাড়ী জব্দ করা হচ্ছে।