আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন।
এনিয়ে, জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরো মোট ৩১৩ জন। আর ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৬৬ জন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা শেষে ৪৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ০৪ শতাংশ।
এ নিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২২৫ জন। বর্তমানে জেলায় ৮৬৪ জন করোনা আক্রান্ত রুগী রয়েছেন। এর মধ্যে ৪১ জন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি ৮২৩ জন বাড়িতে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এদিকে, চতুর্থ দফা চলমান লকডাউনের দ্বিতীয় দিনও (২৩তম দিন) চলছে হেলাফেলাভাবে। লকডাউনের নামে সড়কে যেনো তামাশা চলছে। ভারি যানবাহন ছাড়া সবই চলছে স্বাভাবিকভাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই মানুষ চলাফেরা করছেন। হাট বাজার গুলোতেও ভিড় লক্ষনীয়। তবে বেলা ১১ টার পর সব দোকানপাট বন্ধ থাকার কথা থাকলেও চুরি করেই চলছে কেনাবেচা। পুলিশের বাধা ও ব্যারিকেড মানছে না কেউ।
লকডাউনের মধ্যে মানুষ নানা অজুহাতে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হিমশিম খাচ্ছেন প্রশাসন। পুলিশ মোড়ে মোড়ে চেকপোষ্ট বসিয়ে চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করছেন। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। তবে, শহরের ইজিবাইক, রিকসা, ভ্যান ও মোটর সাইকেলে লোক চলাচল করছেন চোখে পড়ার মত। লকডাউনে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, জনসচেতনতা কম থাকায় মানুষ লকডাউন লঙ্ঘন করছে। তবে আইনশৃংখলা বাহিনী জেলার ৭ টি উপজেলায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য পুলিশ বিভিন্ন সড়কে বসিয়েছে ব্যারিকেড।