চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। আয়োজক দেশ বলেই যে তারা ফেভারিট, তার প্রমাণ দাপটের সঙ্গেই দিল এয়োইন মরগানের দল। প্রথম ওয়ানডেতে সফরকারী প্রোটিয়াদের ৭২ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
শুরুতে টস হেরেই ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। টসে জিতে প্রতিপক্ষকে শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা যে সঠিক ছিল তার প্রমাণ দ্বিতীয় ওভারেই দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। পারনেলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জেসন রয়। তবে দলটা যে ছিল ইংল্যান্ড। হোম কন্ডিশনে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় এরপরেই। অ্যালেক্স হ্যালস ও জো রুটের জুটিতে প্রাথমিক ধাক্কা সামলায় তারা। তবে দলীয় ১০১ রানে হ্যালসকে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান ফেলুকায়ো। বিদায় নেওয়ার আগে ৬০ বলে ৬১ রান করেন হ্যালস।
এর কিছুক্ষণ পর রুটকেও আমলার হাতে তালুবন্দী করেন ফেলুকায়ো। খানিকটা বিপদে পড়া ইংলিশদের টেনে তুলেন অধিনায়ক মরগান। আসল ভিত্তিটাই গড়ে দেন তিনি। ৯৩ বলে করেন ১০৭ রান। যেখানে ছিল ৭টি চার ও ৫টি ছয়। মাঝে অবশ্য তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন স্টোকস (২৫), বাটলার (৭)। যদিও মঈন আলিকে সঙ্গে নিয়েই তিনশোর উপরে স্কোর গড়ে স্বাগতিকরা। মরগান ৪৮তম ওভারে ফিরলেও ৭৭ রানে টিকে ছিলেন মঈন। তার ৫১ বলের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৫টি ছয়। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান তোলে ইংলিশরা।
জবাবে খেলতে নেমে দেখে শুনে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার হাশিম আমলা ৭৩ রানে করে যার শুরুটা করেছিলেন। এর আগে ৫ রানে ফেরেন ডি কক। যদিও বেশিক্ষণ স্থির থাকতে পারেননি আমলা। দলীয় ১৪৫ রানে তাকে ফেরানোর পর ধীরে ধীরে বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে প্রোটিয়ারা। মাঝে অবশ্য ফাফ দু প্লেসিস ৬৭ করেন। আর ক্রিজে স্থায়ী কোনও সঙ্গ না পাওয়ায় শেষ দিকে ৪৫ রানে ফিরে যান শেষ ভরসা এবি ডি ভিলিয়ার্সও। তখন তাদের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ২২৫ রান। এরপর আর বেশি স্থায়ী হয়নি সফরকারীদের ইনিংস। ৪৫ ওভারে ২৬৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
ইংলিশদের পক্ষে ৮ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ক্রিস ওকস। দুটি নেন স্পিনার আদিল রশিদ ও মঈন আলি। ব্যাটে বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচসেরা হন মঈন।