ন্যাটো সামরিক জোটের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হতে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে পৌঁছেছেন ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের সফরসঙ্গীদের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা- বিবিসি জানাচ্ছে, এটি সম্ভবত অত্যন্ত কঠিন এক বৈঠক হতে যাচ্ছে।
বিবিসি খবরে জানা গেছে, ন্যাটোর বৈঠক শেষ করে বৃহস্পতিবারই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন ট্রাম্প। তবে এই দুটি বৈঠক ট্রাম্পের জন্য ব্যাপক চ্যালেঞ্জের হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিয়ে বারবার বেফাঁস মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যার কারণে ওই দুটি জোটের নেতারা ট্রাম্পকে খুব একটা স্বাভাবিকভাবে নাও নিতে পারেন।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ন্যাটোর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে পূর্ণ আর্থিক সহয়তার প্রস্তাব দিতে পারেন ট্রাম্প। এছাড়া মিত্রশক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরো প্রতিশ্রুতির নিশ্চয়তা চাইতে পারেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা।
কিন্তু ব্রাসেলসে পোঁছেই ব্যাপক বিক্ষোভের শিকার হয়েছেন ট্রাম্প। বেলজিয়ামের রাজা এবং রানীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎকালে ব্রাসেলস সিটি সেন্টারে বিক্ষোভ করেন ট্রাম্প বিরোধীরা। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানারে লেখা ছিল, ‘স্টপ ট্রাম্প, সেভ দ্য প্লানেট।’
বৃহস্পতিবার ন্যাটোর সম্মেলনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে তুলে ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি