খেলার খবর : প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টিই গিয়েছিল বাংলাদেশের স্পিনারদের দখলে। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাই তাদের দিকেই তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। স্পিনাররা যথারীতি আলো ছড়ালেও পেসার তাসকিন আহমেদ বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন। তিনি একাই তুলে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আর তাতেই বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ২২০ রানের ব্যবধানে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া মেহেদী হাসান মিরাজ এই ইনিংসে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এর ফলে বড় জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি মুমিনুল হকের দলকে। এর ফলে ৪ টেস্ট পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।
হারারে টেস্টে ৩ উইকেটে ১৪০ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। এই টেস্ট জিততে শেষ দিনে রেকর্ড ৩৩৭ রান করতে হতো জিম্বাবুয়েকে। কারণ এই মাঠে এত বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার রেকর্ড নেই কারও। এর আগে ১৯৯৮ সালে সর্বোচ্চ ১৯২ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের বোলারদের সামনে সেই রান তাড়া করার স্বপ্ন প্রথম সেশনেই মাটি হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের।
দিনের প্রথম ঘণ্টার খানিক বাদেই বাংলাদেশকে উল্লাসের উপলক্ষ্য এনে দেন মিরাজ। এই ডানহাতি স্পিনার ডিওন মেয়ার্সকে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সাদমান ইসলামের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন। এর তিন বল পরেই টিমিচেন মারুমাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে আউট করেন মিরাজ। এরপর বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন তাসকিন। এই ডানহাতি পেসার প্রথমে রয় কাইয়াকে রানের খাতা খোলার আগেই এলবিডব্লিউ করে ফেরান। এরপর উইকেটরক্ষক রেজিস চাকাভাকে বোল্ড করে ফিরিয়েছেন তিনি।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগে আরেকটি উইকেট পেতে পারতেন তাসকিন। ভিক্টর নিয়াউচিকে দারুণ এক ইন সুইঙ্গারে বোল্ড করেছিলেন তিনি। স্টাম্প ছত্রখানা করে উল্লাসে মেতেছিলেন তাসকিন। তবে আম্পায়ার নো বল ডাকলে সেই উল্লাস মাটি হয়ে যায়। এর ফলে শূন্য রানেই জীবন পান নিয়াউচি। অবশ্য বিরতির পর সেই তাসকিনের বলেই ব্যক্তিগত ১০ রান নিয়াউচি সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন। তাসকিনের করা শর্ট বল আগ বাড়িয়ে খেলতে গিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে সোজা চলে যায় ফার্স্ট স্লিপে থাকা সাকিবের হাতে।
শেষদিকে মিরাজের বলে ব্যক্তিগত ৬ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি। যদিও সেই ক্যাচ লুফে নিতে পারেননি সাকিব। এই টেল এন্ডারকে নিয়ে ১২৫ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ডোনাল্ড তিরিপানো। ব্যক্তিগত ৫২ রানে তাকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন এবাদত হোসেন। এর মধ্যে দিয়েই মুজারাবানির সঙ্গে তার জুটি ভাঙে ৪১ রানে। এরপর ১০ রান করা এনগারাভাকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের ইনিংস ২৫৬ রানে গুটিয়ে দেন মিরাজ। যদিও মুজারাবানি ৫১ বলে ৩০ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসের সঙ্গে মুমিনুল, লিটন ও তাসকিনের তিন হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ ৪৬৮ রানের বড় পুঁজি পায়। এরপর জিম্বাবুয়ে তাদের প্রথম ইনিংসে ২৭৬ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে প্রথম ইনিংসেই বাংলাদেশ লিড পায় ১৯২ রানের।