স্বাস্থ্য ও জীবন : অতি প্রাচীনকাল থেকেই হলুদ আয়ুর্বেদ ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে হলুদ সবচেয়ে কার্যকর। প্রাকৃতিক উপাদান বা ত্বকের জন্য প্রসাধনী হিসেবে উপকারী হলুদ।
হলুদের কারকিউমিন নামক বায়ো-অ্যাকটিভ উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে সর্দি জ্বরের ঔষধ হিসেবে হলদি দুধ দেয়া হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এর কারকিউমিনের ভাইরাস বিরোধী গুণাগুণ ইনফেকশানের বিরুদ্ধে কাজ করে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ায় হলুদ। গবেষণায় দাবি করা হয়, হলুদ খেলে মস্তিষ্কে ব্রেইন ডেরাইভড নিউরোটফিক ফ্যাক্টেরের (brain-derived neurotrophic factor BDNF) মাত্রা বাড়ে। এটি মস্তিষ্কের নতুন যোগাযোগ এবং মস্তিষ্কের কোষের বিকাশে সহায়তা করে। মস্তিষ্কে এর পরিমাণ কম মাত্রায় থাকলে আলযহাইমার্স রোগসহ বিভিন্ন ধরনের মস্তিষ্কের রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
হলুদের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি উপাদান ডার্ক সার্কেল ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ত্বকের স্বাভাবিক আভাকে তুলে ধরাই হলো হলুদের প্রধান কাজ।