আশাশুনি ব্যুরো : আশাশুনিতে সরকারী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপি বলেন, সরকার দেশব্যাপী যে উন্নয়নের উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, আশাশুনিতে তার কম কিছু হয়নি। সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে উপজেলা চেয়ারম্যান আমার ছোট ভাই মোস্তাকিম ও আমি আমরা দু’ভাই একসাথে কাজ করতে চাই। আগামীতে এর ব্যত্যয় ঘটবে না। আশাশুনিতে এখনো অনেক কিছুর দরকার আছে। অডিটোরিয়াম, শিল্পকলা একাডেমি, আইসিটি ভবন, লোকাল গভর্মেন্ট ভবন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সবকিছুই করা হবে। ইতিমধ্যে কিছু কাজ এগিয়ে গেছে। উপজেলার শিক্ষা, সড়ক যোগাযোগ, মসজিদ-মন্দিরসহ সকল সেক্টরে উন্নয়ন করা হয়েছে। উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে অতীতে সরকার বিরোধী চক্র ষড়যন্ত্র করে এসেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আ’লীগ ও জনপ্রতিনিধিদের একসাথে কাজ করতে হবে। যারা আমাদের নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে ক্ষমতায় বসিয়েছে তাদের কল্যাণে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। মানিকখালী ব্রিজ, আশাশুনি টু ঘোলা সড়ক নির্মাণ, হাসপাতালের সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ এবং আইনের শাসনের আবশ্যকতার কথা জোর দিয়ে তিনি বলেন, যারা অপরাধী-সন্ত্রাসী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক, কিন্তু নিরাপরাধীরা ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। রবিবার দুপুর ২ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপরোক্ত কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুষমা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম, আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম শাহিন ও এমপি প্রতিনিধি শম্ভুজিৎ মন্ডল। সভায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল, শেখ জাকির হোসেন, আলমগীর আলম লিটন, স ম সেলিম রেজা মিলন, প্রভাষক মোনায়েম হোসেন, দিপংকর কুমার সরকার ও উপজেলা প্রকৌশলী শামীম মুরাদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবিএম মোস্তাকিম তার বক্তব্যে বলেন, এমপি রুহুল হক আমার বড় ভাই, আমাদের নেতা। আমরা এক সাথে কাজ করবো। অতীতে নির্বাচনের সময় তার সাথে থেকে যেভাবে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করেছি, আগামীতে সকল ক্ষেত্রে আমি ও সকল চেয়ারম্যান এক কাতারে দাঁড়িয়ে সরকারের উন্নয়নের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করবো।
এর আগে এমপি রুহুল হক বড়দলে সাংঘাতিকভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী খায়রুল ইসলামকে দেখতে যান। খায়রুল ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি তার চাকরির ব্যপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন। এরপর সন্ধ্যায় আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি যোগদান করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট