নিষিদ্ধের তালিকায় শুধু বিধিনিষেধ নয়। অনেক সময় ভাল ভাল বিষয়ও নিষেধের আড়ে পড়ে। তাই বলে কি খাবারও?
বিশ্বের কয়েকটি দেশে কিছু খাবারের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই, এই তথ্যটি আপনার কাজে আসবে, বিশেষ করে যখন আপনি সেই স্থানগুলিতে ভ্রমণ করবেন।
১। সমুচা: সমুচা নিষিদ্ধ সোমালিয়ায়। এই মজাদার খাবারটি নিষিদ্ধ হওয়ার কারণটিও বেশ অদ্ভুত। সমুচার চেহারার সাথে দেশটির সন্ত্রাসী গোষ্টী ‘আল-শাবাব’-এর চিহ্নের সঙ্গে মিলে যায়। এ কারণেই ২০১১ সালেসোমালিয়ায় এটি নিষিদ্ধ করা হয়।
২। টমেটোর সস: সব সুস্বাদু খাবার খাওয়ার জন্য ফ্রান্সে খাদ্যদ্রব্যগুলি পছন্দের তালিকায় সবার উপরে। খাবারের স্বাদ যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সে কারনে ফ্রান্সের সরকার ২০১১ সালে টমেটো কেচাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আর এটি ফ্রান্সের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টমেটো কেচাপ নিষিদ্ধ।
৩। কিন্ডার জয়: চকলেট বাচ্চাদের পছন্দের খাবার হলেও, এর বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। বিশাল আকারের চকলেট কিন্ডার এগস নিষিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রে। মূলত স্বাস্থ্যগত সচেতনতার জন্যই ১৯৩৮ সালে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। কারন সরকার মনে করে, এই বিশাল আকৃতির চকলেট বাচ্চাদের স্বাস্থ্যর জন্য বেশ ক্ষতিকর।
৪। চুইংগাম: চুইংগাম সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ। কারন সিঙ্গাপুর পরিষ্কার পরিচ্ছনাতার জন্য বিখ্যাত একটি দেশ। মানুষ চুইংগাম চিবুনোর পর তা যেখানে সেখানে ফেলে পরিবেশ নোংরা করে বিধায় এটি ১৯৯২ সালে সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ করা হয়।
৫। কাঁচা দুধ: যুক্তরাষ্ট্রের ২২টি রাজ্যে ও কানাডায় কাঁচা দুধ ও ডেইরি পণ্য বিক্রি করা নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞাটির প্রকৃত কারণ হল এই পণ্যগুলিতে উপস্থিত যেসব কীটনাশকগুলি থাকে, সেটা লিস্টারিয়াসিস, ই-কোলি এবং খাদ্য বিষক্রিয়া হতে পারে।
৬। হ্যাগিস: স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত এ খাবারটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ। এটি মূলত ভেড়ার হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসের সঙ্গে বিভিন্ন মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয়। আপনি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই এটি সম্পর্কে জানা উচিত। যে হ্যাগিস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অবৈধ খাদ্য।
৭। গরুর মাংস: ভারতে বসবাসরত মানুষের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে, একটি গরু বধ করা এবং ধর্ষণ করা একটি অপরাধমূলক কাজ। তাই ভারতের বহু স্থানে ধর্মীয় কারণে গরুর মাংস নিষিদ্ধ। সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া।