ঠিকানা আহমাদিয়া প্রেস। ১ কেবি আহছানউল্লাহ রোড, সাতক্ষীরা। বহু পুরনো এই ঠিকানাটি আজকের প্রজন্মের অনেকেরই অচেনা হলেও প্রবীণদের মুখে মুখে রয়েছে । কারণ এই ঠিকানায় দিনরাত বসতো জমজমাট আড্ডা। শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ঝড় সব দিনেই খোলা থাকতো আহমাদিয়া প্রেসের দরজা। হাসির ফোয়ারা উঠতো। কখনও বা বিষাদে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়তো আড্ডাটা। আর এ সবের পেছনে জড়িত রয়েছে প্রেসের অতি পরিচিত ম্যানেজার আবুল কাসেমের নামটিও। বহুল পরিচিত আহমাদিয়া প্রেসটি এখনও আছে। তবে নতুন রুপে। আজ আর নেই শুধু সেই আড্ডাটা । নেই সেই আড্ডার মধ্যমনিও।
সাতক্ষীরা শহরের নারকেলতলা থেকে পাকাপুলের মোড় আসার শহীদ নাজমুল সরণি বরাবর দক্ষিনমুখী সড়কের বামধারের ছোট রাস্তাটিই ১ কেবি আহছানউল্লাহ রোড। এখানেই গড়ে উঠেছিল এক মোহনা। যেন অবিরাম জন ¯্রােতোধারার একটি মিলনমুখ। যেখানে মিলিত হতো হাজার প্রাণ, প্রাণে প্রাণে প্রাণময় হয়ে থাকতো সারাক্ষন। প্রেসটির দেয়ালে সাঁটা থাকতো অভিনন্দনপত্র, মানপত্র।এমনকি কিছু বাঁধানো ছবিও। যে কেউ তার কক্ষে ঢুকে দেখতে পেতেন মোতালেব সাহেবের প্রশস্তি গাওয়া সেই সব মানপত্রগুলি। হে ক্ষনিকের অতিথি , হে বিদ্যানুরাগী , হে মহানুভব এমনসব নানা বিশেষণে ভূষিত করে সুন্দর হস্তলিখিত প্রশস্তিপত্র পড়ে যে কেউ তার মর্যাদা ও সম্মান সম্পর্কে ধারনা পেতে পারতেন। স্কুল কলেজ যেখানেই যেতেন তিনি প্রধান অথবা বিশেষ অতিথি হয়ে, সেখানেই তাকে সম্মানিত করা হতো অভিনন্দনপত্র দিয়ে ।
প্রেসের অফিস কক্ষে গায়ে গায়ে ঠাঁসা গোটা পনের চেয়ার। সামনে টেবিল । সেখানেই বসতেন একটি কুশন চেয়ারে , তিনিই এই প্রেসের মালিক,নাম আবদুল মোতালেব। যার নাম ডাক ছিল খুব। এক নামেই মানুষ জানতো যাকে তিনিই আবদুল মোতালেব। টেবিলে এক গাদা বাংলা ইংরেজী খবরের কাগজ রেখে চেয়ারে বসে থাকা মানুষগুলোর সাথে পান চিবুতে চিবুতে অবিরাম গল্প গুজব করা। পানের সাথে সাথে চা। কখনও হাসি কখনও বিষাদে ভরে উঠতো সামনের সারিতে বসে থাকা মুখগুলো। আবার হাসির ফোয়ারা উঠতো মাঝে মাঝে। অনবরত মানুষ আসছে , কথা বলে চলে যাচ্ছে । কারও চাকুরি চাই। কারও একটি স্কুল চাই। কেউ চান এলাকায় দরিদ্র মানুষের মাঝে রেড ক্রিসেন্টের ত্রাণ সামগ্রী বিতরন। কেউ কম্বল , কেউ টিন, কেউ বা গুড়ো দুধ। কেউ বা আসতেন পুলিশের বালা মসিবতের হাত থেকে রক্ষা পেতে। প্রেস অফিস কক্ষটির বাইরের দেয়ালে টানানো একটি চিঠির বাক্স। বহুদিন হওয়ায় জীর্নতার ছাপে নড়বড়ে হয়ে দাঁত ভেংচি কাটা লেটার বক্স। রানার আসতো , বক্স খুলে চিঠি নিয়ে যেতো । আর ডেলিভারি দিতো অনেক চিঠি। অন্যের নামের চিঠি। লেখা থাকতো কেয়ার অব আবদুল মোতালেব , আহমাদিয়া প্রেস। যার নামের চিঠি তিনি তো এই প্রেসের কেউ নন। সাতক্ষীরার দুরগ্রাম , যেখানে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম দুই চাকার হেলিকপ্টার , আর নদী পারাপার সেখানকার গ্রামে কবে পৌছাবে এই চিঠি তার হিসাব কেউ বলতেই পারতো না । গ্রামে চিঠি বিলি হতো সপ্তাহের একদিন হাটবারে। এক হাটবারে না পাওয়া গেলে পরের হাটবার দিন।হয়তো চিঠি নেওয়ার জন্য মৌখিক খবর যেতো প্রাপকের বাড়িতে। এভাবে কতো হাট যে কেটে যেতো তার ঠিক ছিলনা। আর তাই প্রত্যন্ত এলাকার প্রিয়জনরা ব্যবহার করতেন কেয়ার অব আবদুল মোতালেব , আহমাদিয়া প্রেস , ১ কেবি আহছানউল্লাহ রোড। নিরাপদে চিঠি পৌঁছাতো। প্রাপক খবরও পেতেন তাড়াতাড়ি।
মোতালেব সাহেব বহু স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। আমার জানা মতে এ সংখ্যা ৯০ টিরও বেশি। এ ছাড়া কলেজ মাদ্রাসা তো আছেই। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি স্কুল তৈরির অভিযানে মাঠে নেমেছিলেন। প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকও। তালার কুমিরায় তিনি নারী শিক্ষার প্রদীপ প্রজ্বলন করেছিলেন। নিজ হাতে গড়ে তোলেন কুমিরা গার্লস হাইস্কুল , কুমিরা মহিলা কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠান। নতুন স্কুল কলেজের প্রাথমিক ভিত্তি তৈরি করে তিনি কাগজপত্র প্রস্তুত করাতেন । আর তা ঢাকায় নিয়ে স্কুলটির রিকগনিশন আদায় করতেন। এভাবে একের পর এক স্কুল প্রতিষ্ঠান করতে থাকায় তার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি হয়ে ওঠেন জেলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী। এরপর যতো স্কুল প্রতিষ্ঠা লাভ করতো তার সবগুলিতে প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে নাম থাকতো আবদুল মোতালেবের। কারণ তারা জানতেন তাকে ছাড়া রিকগনিশন প্রাপ্তির অসাধ্য কাজ আর কারো দ্বারা সাধ্য নয়। স্কুল তৈরির সাথে সাথে চাকুরিও পেয়ে গেছেন অগনিত বেকার যুবক। আজও চাকুরিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তারা। আবার কেউ কেউ অবসরে গেছেন। চিরদিন তারা স্মরণে রেখেছেন তাকে । কারণ তিনিই তাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
আবদুল মোতালেব একজন নন্দিত নেতা ছিলেন। তার রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিল আওয়ামী লীগের প্রতি । কিন্তু দলীয় কোনো পদ গ্রহন করেননি তিনি। তবে রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করেছেন। জেলার রাজনীতির অন্যতম নীতি নির্ধারকও ছিলেন তিনি। একদিকে তিনি ছিলেন দৈনিক কাফেলার প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। অন্যদিকে নিজে ছিলেন বাংলাদেশ অবজারভারের সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট। ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা। বন্যা ও ঝড়ের সময় বিটিভিতে তার কন্ঠ শোনা যেতো। টিভিতে ভেসে আসতো দুর্যোগ কবলিত মানুষের দুর্ভোগের কথা , ত্রাণ বিতরনের কথা । তিনি ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। বহু দফায় তিনি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের মূল ভবনটি তিনিই আদায় করেছিলেন তৎকালিন এসডিও শহিদুল আলমের কাছ থেকে। বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির তিনি ছিলেন সভাপতি। ৬০ এর দশকে সাংবাদিকতায় প্রবেশ করে তিনি নিজেকে দেশজুড়ে পরিচিত করে তুলেছিলেন। জেলার সাংবাদিকদের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। তার তৎকালিন সাপ্তাহিক কাফেলায় ( পরবর্তীতে দৈনিক কাফেলা ) কিংবা তার প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ সহযোগিতায় সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেছেন সাতক্ষীরার অগনিত সংবাদকর্মী। তার কাছেই সাংবাদিকতায় হাতে খড়ি হয়েছে অনেকের । তিনি ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় কমিটির বিভিন্ন সময়ের সদস্য। সাতক্ষীরা জেলা রেড ক্রিসেন্টের তিনি ছিলেন সম্পাদক। রেড ক্রিসেন্টের বর্তমান ভবনটি তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছ থেকে গ্রহন করেছিলেন। আবদুল মোতালেবের বিচরন ছিল এক .সংবাদ জগতে , দুই .শিক্ষা ভূবনে , তিন. রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে। ফলে সকল সময়ই তাকে জনগনের পাশে থাকতে হতো। জনগনের সমস্যা শুনতে হতো । সমাধান দিতে হতো তাকে। ২০০০ সালের অক্টোবর মাস। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সাতক্ষীরার পশ্চিম জনপদ ভয়াবহ অকাল বন্যার কবলে পড়ে ভারতীয় পানিতে ভাসছিল। রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ সাতক্ষীরার বন্যা পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলেন। সার্কিট হাউসের হলরুম সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তাদের ভিড়ে ঠাঁসা। রাষ্ট্রপতি হলে ঢুকতেই সবাই উঠে দাঁড়িয়ে সালাম জানালেন। আর রাষ্ট্রপতিও দাঁড়িয়ে গেলেন । বললেন ‘এখানে মোতালেব সাহেব নেই। মোতালেব সাহেব যিনি টিভিতে খবর দেন তিনি কোথায়’। হতবাক সবাই। অডিয়েন্স থেকে জবাব এলো তিনি ঢাকায় রয়েছেন। এরপর যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আশফাক রাষ্ট্রপতিকে বন্যার ওপর ব্রিফ করেন। একজন রাষ্ট্রপতি যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের নন তিনি সাতক্ষীরায় এসে আবদুল মোতালেবকে খুঁজছেন এটা কম কথা নয়। তার পরিচিতি এতোটাই যার প্রমান হতে পারে এটি। মোতালেব সাহেবের পরিচিতি এতোটাই তুঙ্গে ছিল যে সাতক্ষীরায় শীর্ষ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাই এখানে যোগ দিয়ে অথবা যোগদানের আগে তার সাথে কথা বলতেন। দেখা করতেন। সাতক্ষীরাকে বুঝবার চিনবার চেষ্টা করতেন। দায়িত্ব পালন কালে তারা তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন।
দেশ সেরা সমাজকর্মী ছিলেন আবদুল মোতালেব। তাকে একজন সমাজ সংস্কারক হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়। কোনো কিছু প্রাপ্তির জন্য নয় , জীবনব্যাপী তিনি সমাজ কর্মের মধ্যে মানুষকে শুধু দিয়েই গেছেন। জেলায় এমন কোনো স্কুল কলেজ খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে প্রতিষ্ঠানে তার যাদুস্পর্শ পড়েনি। একজন স্কাউট কমিশনার হিসাবে তিনি ছিলেন বিরল কৃতিত্বের অধিকারী । তার বাড়িতেই বসতো দাদা ভাই রোকনুজ্জামানের কচি কাঁচার মেলা। এই মেলা সাতক্ষীরার শিশুর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছে। জেলা শিল্পকলা একাডেমি ,জেলা সাংস্কৃতিক সংস্থা এসব কিছু প্রতিষ্ঠার পুরোধা আবদুল মোতালেব। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে তিনি ছিলেন অগ্রগামী সৈনিক। জেলাব্যাপী তিনি শুধু জমি খুঁজতেন । সরকারি জমি কিংবা বাড়ি । যেমনটি তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন জ্ঞানমন্দির । যেখানে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন দিবা নৈশ উচ্চ বিদ্যালয়। সরকারের কাছ থেকে এসব জমি আদায়ের সব কলা কৌশল তারা জানা ছিল। এভাবেই তিনি জেলার উন্নয়নে অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। এ কারণে তিনি হয়ে ওঠেন সব আলোচনার মধ্যমনি। তেমনি জমে থাকতো তার আহমাদিয়া প্রেস। ১৯৫২ তে যে প্রেসের জন্ম। এই প্রেসই ছিল সাধারন মানুষেরও ঠিকানা।
শুধু সাংবাদিকতা নয় শিক্ষা বিশেণ করে নারী শিক্ষার প্রতি ছিল তার গভীর আগ্রহ । সাতক্ষীরার প্রত্যন্ত এলাকায় তৃণমুল পর্যায়ে তিনি গড়ে তুলেছেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় , মাদ্রাসা ও কলেজ । সাতক্ষীরায় একটি পলিটেকনিক ইন্সিটিটিউট , সরকারি বিএড কলেজ , কৃষি কলেজ , ল’ কলেজ , এমনকি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্নও দেখেছিলেন তিনি । তার সেই দীর্ঘ লালিত স্বপ্নের অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে । অনেকটাই এখন বাস্তবায়নের দ্বার প্রান্তে । আবার আলোর মুখ দেখেনি অনেকগুলি । খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পুরোধাদের অন্যতম ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে তার জাদুষ্পর্শে জন্ম নিয়েছে সাতক্ষীরা দিবা নৈশ কলেজ , নৈশ বিদ্যালয় , ছফুরেন্নসা কলেজ । এভাবে অগনিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে সেখানে চাকুরি দিয়ে তিনি বেকারত্ব দুরীকরনের পাশাপাশি শিক্ষিত ও আলোকিত সমাজ গঠনে ব্রতী হয়ে চিরস্মরনীয় হয়ে রয়েছেন । তার সমস্ত কর্ম তৎপরতা পরিচালিত হতো এই আহমাদিয়া প্রেস থেকে।
ঠিকানা আহমাদিয়া প্রেসের আরেকটি বৈশিষ্ট্য ছিল। প্রতিদিন দুপুরে সন্ধ্যায় মুড়ি চানাচুর আসতো মোতালেব সাহেবের টেবিলে। সাথে বাদাম চলতো বেশ। সেই সাথে গরম গরম চা। দুধ চা। মোতালেব সাহেব দক্ষিন দিকে মুখ করে চেয়ারে বসতেন। তার ডান পাশে টুলের ওপর থাকতো টেলিফোন। অনেকেরই মনে থাকবার কথা, ফোন নম্বরটি ছিল থ্রী সেভেন ফাইভ(৩৭৫)। সাতক্ষীরার বাইরে কথা বলতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জে বুকিং দিতেন তিনি। ওয়ান সেভেনে বার বার রিমাইন্ডার দিতেন। অনবরত ফোন আসতো, ফোন করতেন তিনি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে রিসিভার উঁচু করে কথা বলতেন তিনি। অনবরত কথা বলা আর গল্প করা সম্ভবতঃ তার হবি ছিল। আর মাঝে মাঝে হুংকার দিতেন ‘কাসেম, চা নিয়ে আয়’। ম্যানেজার আবুল কাসেম ফ্লাক্স নিয়ে যেতেন চা আনতে ,সিরাজের চা দোকানে। পেছনে থাকা কাপে ঢালতেন , হাতে হাতে দিয়ে দিতেন। আর পেছনে খট খট করতো ছাপাখানা, লেটার প্রেস। ছাপা হতো নিজের সম্পাদিত দৈনিক কাফেলা। ছাপা হতো অন্যান্য পোস্টার লিফলেট এমনকি প্রশ্নপত্রও। এ কথা সবার মনে থাকবার কথা। শুধু গল্পে গুজবে হাস্যরসিক নন, তিনি ছিলেন ভোজন রসিকও।
আজ সেই ২ জুন । প্রবাদ প্রতিম নন্দিত সাংবাদিক নেতা , অবিসংবাদিত শিক্ষানুরাগী , দুর্যোগে দুর্বিপাকে মানুষের একান্ত সাথী আবদুল মোতালেবের ১৬ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ । তাঁকে মনে পড়ছে বারবার । আর তাঁকে ঘিরে ঠিকানা আহমাদিয়া প্রেসের জমজমাট আড্ডার কথাও ভুলিনি। প্রেসটি আছে । লেটার যুগের শেষ হয়েছে। এসেছে নতুন ডিজিটাল প্রেস । কিন্তু সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। নেই সেই মধ্যমনি আবদুল মোতালেবও।
সুভাষ চৌধুরী : সাংবাদিক, এনটিভি ও দৈনিক যুগান্তর, সাতক্ষীরা।
পূর্ববর্তী পোস্ট