ভিন্নরকম সংবাদ: দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি চাপায় নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈমের মৃত্যুর ঘটনায় ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।এ সময় পুলিশের একটি গাড়ির চালকের লাইসেন্স দেখতে চাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়।ওই পুলিশ সদস্য লাইসেন্স দেখাতে না পারলেও বাজে আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।পুলিশ সদস্য বলেন, পোশাকই লাইসেন্স, অস্ত্রই লাইসেন্স।পরে পুলিশের ওই সদস্য বাজে আচরণের কারণে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনার বিচার, বাসভাড়ায় হাফ পাস ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ফার্মগেট এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বাসসহ গণপরিবহণ চলতে বাধার সৃষ্টি করে।বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলেও বাধা সৃষ্টি করে। এ সময় তারা ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালকদের লাইসেন্স দেখতে চান। যাদের লাইসেন্স ও কাগজপত্র সঠিক রয়েছে, তাদেরই কেবল ছাড়া হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্সে বাধার সৃষ্টি করা হয়নি।
শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের মধ্যেই দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি গাড়ি ফার্মগেট মোড়ে আসে। এ সময় শিক্ষার্থীরা গাড়িচালকের লাইসেন্স দেখতে চান। চালক তা দেখাতে পারেননি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সময় তিনি পুলিশের পোশাকই লাইসেন্স বলে দাবি করেন। পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, বন্দুকই লাইসেন্স। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে পুলিশের ইমরান নামের এক সদস্য শিক্ষার্থীদের কটূক্তি করেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এরপর শিক্ষার্থীরা ওই পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন। তারা স্লোগান দিয়ে বলেন, পুলিশের লাইসেন্স নাই, বাংলাদেশ পুলিশ হায় হায়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে তেজগাঁও জোনের পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রুবাইয়াত জামান ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি সব ঘটনা শোনেন। তার মধ্যস্থতায় একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সামনে এসে কটূক্তিকারী ওই পুলিশ কর্মকর্তা দুঃখ প্রকাশ করেন।