দেশের খবর : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লাবাহী গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের (১৭) মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ে দোষী চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্রমেই রাজধানীজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে রাজধানীর মতিঝিল-গুলিস্তান, বেইলি রোড থেকে কাকরাইল, ফার্মগেট, উত্তরা-আব্দুল্লাহপুর এলাকার সড়ক অবরোধ করে ছাত্র বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
সকালের পর থেকেই নটর ডেমের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী কলেজের সামনে জড়ো হন। এরপর সাড়ে ১১টা নাগাদ তারা শাপলা চত্বরের সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান এবং ঘটনার প্রকৃত আসামির গ্রেফতার ও দ্রুত বিচার দাবি করেন। শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে বিভিন্ন দাবিতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এরপর সবাই দিলকুশা হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে গিয়ে সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নেন।
দোষী চালকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতসহ তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মানুষসহ সড়কের সব প্রাণীর নিরাপত্তা দিতে হবে, ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়ন করতে হবে, নাঈমের (গাড়ি চাপায় নিহত) পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও সাড়ে ১১টার পর থেকে নাঈম হাসানের মৃত্যুর প্রতিবাদে সড়কে নেমে আসে। তারা প্রথমে বেইলি রোড হয়ে শান্তিনগর সড়কে অবস্থান নেয়। এরপর কাকরাইল মোড়ে এসে সড়ক বন্ধ করে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে, এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে গুলিস্তানের সড়কে অবস্থান নিচ্ছেন কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের অবস্থানের কারণে গুলিস্তান-সদরঘাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আব্দুল্লাহপুর-উত্তরা সড়ক অবরোধ করেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন।
ফার্মগেট গোলচত্ত্বরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্ররা। এর ফলে রাস্তার দুই-পাশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। একেতো সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস, তার ওপর এমন অবস্থান-বিক্ষোভে রাজধানীর যানজট চরমে পৌঁছেছে। সড়কে যানবাহনগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকে নিরুপায় হয়ে হেঁটেই গন্তব্যের দিকে রওনা দিতে দেখা গেছে।