অর্থনীতির খবর: যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমান গতিতে এগিয়ে গেলে বৈশ্বিক অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থান উন্নীত হবে ২৪-এ। চলতি বছর তালিকায় ৪২তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল ২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে মূলত সামনের বছর এবং আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের কোন দেশের অর্থনীতি কী হারে বাড়বে, এরই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সিইবিআর প্রতিবছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। শনিবার রাতে প্রকাশিত হয় সংস্থার ১৩তম প্রতিবেদন।
এতে বলা হয়, ৮ বছর পরেই চীন হবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি।২০৩১ সাল নাগাদ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত। আর এ সময় দ্বিতীয় হবে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি চতুর্থ ও জাপান পঞ্চম।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ৪১তম, ২০২৬ সালে ৩৪তম ও ২০৩১ সালে ২৯তম। ২০৩৬ সাল নাগাদ ১৯৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান বহু ধাপ ওপরে উঠে হবে ২৪তম অর্থনৈতিক শক্তি। অর্থাৎ আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৮ ধাপ এগিয়ে যাবে।
এতে আরো বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৩৩ ডলার। এই হিসাবটা পিপিপি বা পারচেজিং পাওয়ার (ক্রয়ক্ষমতা) প্যারিটিকে হিসাবে নিয়ে করা। বাংলাদেশকে এখন একটি নিুমধ্যম আয়ের দেশ বলে গণ্য করা হয়। ২০৩৬ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রথম ২৫টি দেশের তালিকায় যুক্ত হবে তিনটি নতুন দেশ: ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও বাংলাদেশ। এর মধ্যে ভিয়েতনামের অবস্থান হবে ২০, বাংলাদেশের ২৪ ও ফিলিপাইনের ২৫। এ সময় যেসব অর্থনীতিকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে যাবে তার মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, নরওয়ে, আর্জেন্টিনা, ইসরাইল, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সুইডেন ও তাইওয়ান। বর্তমান বিশ্ব সূচকে এই দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে, কারণ তাদের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়ে বড়
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিল প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরে বিশ্বের শীর্ষ ১০ অর্থনীতির তালিকার শীর্ষে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো যথাক্রমে-চীন, জাপান, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা ও দক্ষিণ কোরিয়া।